সরকারি বশির উদ্দিন মেমোরিয়াল কো-অপারেটিভ বি.এম.সি মহিলা কলেজ নওগাঁ'র পুরাতন গাছ টেন্ডার ছাড়াই গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ প্রফেসর শামসুল হক এর বিরুদ্ধে। এমনকি গাছ কাটার পূর্বে কোনো মিটিং ও রেজুলেশন করা হয়নি বলেও জানা গেছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে কলেজের নিরাপত্তা বাউন্ডারির পাশে কলেজের মাঠে ভবন নির্মাণ ও পাশে লাগানো ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য সীমানা প্রাচীরের পাশে থাকা একাধিক গাছ ভেকু মেশিন দিয়ে তুলে ফেলছে ও কিছু গাছ কেটে ফেলেছে। সীমানা প্রাচীরের পাশে গভীর খনন করার কারণে প্রাচীর'টি এখন ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকা গাছ কাটার প্রয়োজন হলে নিলামে বা টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তার অনুমতি প্রয়োজন। এছাড়া বন বিভাগে আবেদন করতে হয়। সেই আবেদন সরেজমিন যাচাই-বাছাই করে গাছের মূল্য নির্ধারণ করে কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এসবের কোন তোয়াক্কা করেননি অধ্যক্ষ ও ভবন নির্মাণের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের এক কর্মচারী জানান, গাছ কাটার বিষয়ে কোনো মিটিং বা টেন্ডার হওয়ার খবর জানা নেই। এই বিষয়ে অধ্যক্ষ স্যার ভালো জানেন।
সরকারি বশির উদ্দিন মেমোরিয়াল কো-অপারেটিভ বি.এম.সি মহিলা কলেজ নওগাঁ'র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, প্রফেসর শামসুল হক বলেন, গাছ গুলো সীমানা প্রাচীরের পাশে এখানে কলেজের নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য খনন করতে হয়েছে সেখানে থাকা কিছু গাছ ভেকু মেশিন দিয়ে তুলে ফেলা (কর্তন) হয়েছে। আমাকে না জানিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গাছ গুলো কেটেছে। গাছ কাটার জন্য কোনো অনুমতি নেয়নি।
নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস,এম রবিন বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নাই। তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।