নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ঝুটের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে দশটি ঝুটের গুদাম, একটি স’মিল, পাঁচটি টিনের ঘরসহ দুটি ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলা পর্যন্ত সব আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকায় এ আগুন লাগে।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে জেলা কারাগারের বিপরীত পাশে দক্ষিণ সস্তাপুর আদর্শ আবাসিক এলাকায় প্রায় তিন হাজার পরিবারের বসবাস। এখানে নানা শ্রেণিপেশার মানুষসহ পোশাক কারখানার শ্রমিকরাও বসবাস করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে একটি ঝুটের গুদামে আগুন লাগলে মুহূর্তের মধ্যে আরও ৯টি ঝুটের গুদাম ও একটি স’মিলে আগুন লেগে যায়। একপর্যায়ে গুদামগুলোর পেছনে অবস্থিত সিরাজুল ইসলানের চারতলা ভবনের তৃতীয় তলা পর্যন্ত এবং অ্যাডভোকেট নিখিলের ছয়তলা ভবনের চতুর্থ তলা পর্যন্ত আগুন ধরে যায়। এতে দুটি ভবনের অন্তত ১০টি ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাদের সব আসবাবপত্র ও মূল্যবানসামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
একই সঙ্গে আরও ৫ থেকে ৬টি টিনের ঘরও আগুনে পুড়ে যায়। আগুনের লেলিহান শিখা পাঁচ থেকে ছয়তলা পর্যন্ত উপরে উঠে যায়। ধোঁয়ায় চারপাশ আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে আতঙ্কে মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ সময় ভবন বাসিন্দারাসহ আশপাশের ঘরের লোকজন বের হয়ে নিরাপদে সরে আসেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি স্টেশন থেকে পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ততক্ষণে ঝুটের গুদাম, টিনের ঘর ও দুটি ভবনের ১০টি ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র পুড়ে যায়। আগুনে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ঝুট ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তরা।
তবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন মালিকদের দাবি, বারবার বাধা দেওয়ার পরও স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিয়মবহির্ভূতভাবে আবাসিক এলাকায় ঝুট ব্যবসা চালিয়ে আসছে। যে কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তারা এ এলাকা থেকে ঝুট ব্যবসা বন্ধের দাবি জানান।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ জোনের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আবাসিক এলাকায় ঝুটের গুদাম খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কারণে আগুনের ভয়াবহতা বিপজ্জনক পর্যায়ে যায়।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। তবে আগুনে কেউ হতাহত হননি জানিয়ে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে তদন্ত করা হবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
রাজশাহীর সময় / এএইচ