'ইউনাইটেড ন্যাশন্স ইউথ অ্যান্ড স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ' (ইউনিস্যাব) রাজশাহী বিভাগের ১১তম স্বেচ্ছাসেবী সংগ্রহ কার্যক্রম গত শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়।
আগ্রহী তরুণ ও ক্রিয়াশীল শিক্ষার্থীদের এপটিটিউড টেস্ট, ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন ও সাক্ষাৎকারের পর প্রায় ৪০০ জন প্রাথমিক আবেদনকারী থেকে ১২০ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করে গত ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে ফলাফল প্রকাশ করে সংগঠনটি।
এ বছর আঞ্চলিক সম্পাদক আখতারুজ্জামান বাবু এবং উপ-আঞ্চলিক সম্পাদক মো. ইয়াছিন আরাফাতের নেতৃত্বে ১১তম স্বেচ্ছাসেবী সদস্য সংগ্রহ করা হয়। গত ১৯ জানুয়ারি হতে সদস্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর ২১ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি তারিখ পর্যন্ত অনলাইন এবং অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সচল রেখে প্রায় চার শতাধিক আগ্রহী প্রার্থী তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন এবং তাদেরকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডেকে পাঠানো হয়।
সাক্ষাৎকারে উপস্থিত ছিলেন ইউনিস্যাব রাজশাহী বিভাগের আল্যামনাই মেম্বার সহ বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা। দিনব্যাপি মোট এগারোটি ধাপে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের জনসাধারনের মধ্যে জাতিসংঘের মূলনীতি, উদ্দেশ্য প্রভৃতি সম্পর্কে জন সচেতনতা বৃদ্ধি ও ব্যাক্তিক দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে ইউনিস্যাব।
এছাড়াও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের ঈদ উৎসব, দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালের সহয়তামূলক কর্মসূচি, বাৎসরিক শীতবস্ত্র বিতরণ, ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন এবং জাতিসংঘের অগ্রগতিতে তরূণদের ভুমিকা এবং নেতৃত্বের বিকাশ নিয়ে কাজ করে থাকে ইউনিস্যাব রাজশাহী বিভাগ।
বিগত বছর গুলোতে ৮ম, ৯ম, ১০ম সহ আরো বিভিন্নধাপে সেচ্ছাসেবী সংগ্রহ করেছে ইউনিস্যাব রাজশাহী বিভাগ। গঠনমূলক এই প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক পর্যায়ে আবেদন করে আগ্রহী প্রার্থী তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে থেকে নির্বাচিতদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়। এই সময় লিখিত পরীক্ষা এবং দলগত আলোচনাসহ সময় উপযোগী পদ্ধতিতে যোগ্য ও যথাযথ আবেদন কারীদের মূল্যায়ন করা হয়। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে মেধা, আগ্রহ ও দক্ষতা বিবেচনা করে স্বেচ্ছাসেবক নির্বাচন করা হয়।
যুবসমাজের গঠনমূলক উন্নয়ন ও নেতৃত্বের বিকাশকে প্রতিপাদ্য রেখে ‘স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে নেতৃত্বের বিকাশ’ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে ইউনিস্যাব।