ইজরায়েলি গোয়েন্দাদের ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান। চলতি মাসেই ইরাকে অবস্থিত মোসাদের সদর দপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইসলামিক রাষ্ট্রটি। এবারে মোসাদের চার কর্মীর প্রাণদণ্ড কার্যকর ইব্রাহিম রাইসির প্রশাসন। উল্লেখ্য, ফাঁসি রদের আবেদন জানিয়ে ইরানের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চার গোয়েন্দা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
ইরানের জাতীয় মিডিয়া সূত্রে খবর, সোমবারই চার ইজরায়েলি গোয়েন্দার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর করা হয়েছে। চার গোয়েন্দার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইরাকের কুর্দিস্তান থেকে ইরানে অনুপ্রবেশ করেছেন তাঁরা। অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষার অন্যান্য সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল। ইরানের গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টে বলা হয়, ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়েই এই অপারেশন চালিয়েছেন চারজন। কিন্তু ২০২২ সালের
ধরা পড়ার পরেই মোসাদের চার সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। সেই আদেশের বিরোধিতা করে ইরানের সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেন চার গোয়েন্দা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশই বহাল রাখে ইরানের সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ অনুযায়ীই সোমবার চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই ইরাকে অবস্থিত ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তর উড়িয়ে দিয়েছিল ইরানের সেনা। এমনকী আক্রমণ আরও তীব্র করার ডাকও দিয়েছিল তেহরান। তার পরেই ইজরায়েলের চার গোয়েন্দাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। গাজায় ইজরায়েলের সেনা অভিযানের প্রতিবাদে একাধিকবার সুর চড়িয়েছে ইরান। এবার আরও বেশি আগ্রাসী হওয়ার বার্তা দিতেই মোসাদের সদস্যদের নিকেশ করেছে তেহরান, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে এই পদক্ষেপের পালটা দিতে ইজরায়েল কী করে, সেদিকেও নজর থাকবে।