সোমালিয়া উপকূলে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের হাতে পড়েন ১৯ জন পাক নাবিক। কোচি উপকূল থেকে ৮০০ মাইল দূরে। ওই সময়ই আরব সাগরের বুকে পাক নাবিকদের মাছ ধরার ট্রলারটি ছিনতাই করে সোমালিয়া জলদস্যুরা। অপহরণের বিষয়টি নজরে আসতেই উদ্ধারে ছুটে যায় ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুমিত্রা। জলদস্য়ুদের সঙ্গে লড়ে পাক নাবিকদের উদ্ধার করে ভারতীয় নৌসেনা।
পূর্ব সোমালিয়ায় এডেন উপসগারে টহলদারি, সমুদ্রে সুরক্ষা ও জলদস্যু বিরোধী অভিযানের জন্য ভারতীয় নৌসেনার তরফে মোতায়েন করা হয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুমিত্রা। এখন পাক নাবিকদের মাছ ধরার ট্রলারটি সোমালিয়া জলদস্যুদের খপ্পড়ে পড়া মাত্রই, একটি এসওএস বার্তা পায় আইএনএস সুমিত্রা। সেই এসওএস বার্তা পেয়েই পাক ট্রলার 'আল নইমি'র উদ্দেশে রওনা দেয় ভারতের আইএনএস সুমিত্রা। জলদস্যুদের প্রত্যেকের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। নৌবাহিনীর মেরিন কম্যান্ডোরা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে বিপজ্জনক অভিযানে এগিয়ে যান। শেষমেশ জলদস্যুদের বাধ্য করা হয় পণবন্দি সকলকে ছেড়ে দিতে।
এর আগে 'ইমান' নামে আরকটি মাছ ধরার ট্রলারকেও জলদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে আইএনএস সুমিত্রা। ১৭ জন ইরানি নাগরিককে উদ্ধার করা হয় ওই ভেসেল থেকে। এরপর ফের 'আল নইমি' নামক ইরানি ট্রলারটি জলদস্যুদের খপ্পড়ে পড়ে। ট্রলারে থাকা ১৯ জন পাক নাবিককে পণবন্দি করা হয়। নৌবাহিনীর তরফে একটি লিখিত বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে যে, "২৪ ও ২৯ জানুয়ারি বিপদ বার্তা পেয়ে ছুটে যায় আইএনএস সুমিত্রা। জলদস্যুদের বাধ্য করা হয় পণবন্দি সকলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। তারপরই নিরাপদে সকল পণবন্দিকে উদ্ধার করা হয়।" ভারতীয় নৌবাহিনীর সামনে শেষে আত্মসমর্পণও করে জলদস্যুরা।