রাজশাহীতে সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল করেছে বিএনপি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় নগরীর মালোপাড়া এলাকায় অবস্থিত মহানগর ও জেলা কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর ঢল নামে। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও অংশ নেন বিভিন্ন পেশার শত শত মানুষ।
জানা গেছে, চাল, ডাল, তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ সকল দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ আটক সকল নেতাকর্মীর মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সংসদ বাতিলের দাবিতে রাজশাহী মহানগর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ আবার নতুনভাবে জেগে উঠেছে। পার্শ্ববর্তী দেশের প্রেসক্রিপশনে অনুষ্ঠিত ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন দেশবাসীসহ সারাবিশ্ব প্রত্যাখ্যান করেছে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়ে গেছে, এই স্বৈরাচারী সরকারকে বাংলাদেশের মানুষ চায় না।
মিনু বলেন, আজকের এই কালো পতাকা বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচারী সরকারকেই দেখাচ্ছে। আগামীতে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের মানুষ রাষ্ট্রক্ষমতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে নিয়ে আসবে। এসময় আওয়ামী লীগ সরকারকে বাকশাল-২ বলে মন্তব্য করেন মিনু। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বাকশালকে আবার চিরদিনের মতো নির্মূল করে দিবে।
এ কর্মসূচি থেকে খালেদা জিয়াসহ দলীয় সকল নেতাকর্মীর মুক্তি এবং চাল, ডাল, চিনি, ওষুধসহ সব নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি জানানো হয়। দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে কালো পতাকা মিছিল বের হয়। পৃথক পৃথক ব্যানারে মিছিল নিয়ে সোনাদিঘীর মোড়, সাহেব বাজার, গণকপাড়া মোড়, রানিবাজার বাটার মোড় ও নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি শেষ করেন নেতাকর্মীরা।
এ দিনের কর্মসূচিতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহিন শওকত, জেলা বিএনপির নেতা মো. গোলাম মোস্তফা মামুনসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের নেতাকর্মীরাও। হাতে ব্যান্ডেজ নিয়েই কালো পতাকা মিছিলে যোগ দেন কয়েকজন নেতাকর্মী।
এসময় মিছিল থেকে ‘৭ তারিখের নির্বাচন মানি না, মানব না’- এছাড়াও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।