রাশিয়ার হুমকি ঠেকাতে যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের পরিকল্পনা করছে যুত্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে পেন্টাগনের নথিপত্র যাচাই করে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাফোকের আরএএফ লেকেনহেথে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক ওয়ারহেডগুলো মোতায়েনের কথা ভাবছে যা সক্ষমতার দিক থেকে হিরোশিমায় নিক্ষিপ্ত বোমার চেয়ে প্রায় তিনগুণ শক্তিশালী।
এর আগে যুক্তরাজ্যে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছিল ওয়াশিংটন। পরে মস্কোর পক্ষ থেকে স্নায়ুযুদ্ধের হুমকি বন্ধ হওয়ার পর ২০০৮ সালে সেগুলো সরিয়ে নেয় দেশটি।
সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার হুমকির পর নতুন করে সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিলো যুক্তরাষ্ট্র।
নথিপত্র থেকে জানা যায়, ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সাফোকের আরএএফ লেকেনহেথের রয়্যাল এয়ার ফোর্স স্টেশনে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করবে যুক্তরাষ্ট্র।
শত্রুপক্ষের আক্রমণ থেকে সামরিক কর্মীদের রক্ষার জন্য ব্যালিস্টিক শিল্ডসহ নতুন বেশকিছু সরঞ্জামও রাখবে ওয়াশিংটন। লেকেনহেথের কাছে ৫০ কিলোটনের বি৬১-১২ গ্র্যাভিটি বোমাও থাকবে যার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়েও তিনগুণ বেশি।
এদিকে গত সপ্তাহে ন্যাটোর এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল রব ব্যুয়ের ঘোষণা দেন যে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন।
ব্রিটেনের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল স্যার প্যাট্রিক স্যান্ডার্স বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ লাগলে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বেসামরিক মানুষদেরও যুদ্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে। প্যাট্রিকের এই আহ্বানকে সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনীর পরিসর ছোট উল্লেখ করে বেসামরিক নাগরিকদেরও যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।