রাজশাহীর তানোরে পুকুর খনন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চাচা সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আপন ভাতিজির শ্লীলতাহানি ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। চাচার নির্যাতনের শিকার ভাতিজি এখন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারী ) দুপুরে পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) চিমনা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় গ্রামবাসির মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশী বলেন, কাঁচি মার্কায় ভোট দেয়ার কথিত অভিযোগে হযরতের পরিবারের উপর নানা নির্যাতন করে আসছে সাদিকুল।
জানা গেছে, উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) চিমনা গ্রামের রহমতুল্লাহর একটি পুকুর রয়েছে। উপজেলা ওই পুকুর খননের অনুমতি দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রহমতুল্লাহ'র তিন পুত্র পুকুর খনন নিযে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। এই পুকুর খনন বন্ধ না হলে যেকোনো সময় বড় ধরণের সংঘর্ষ বা খুনজখমের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় সাদিকুল তার ভাই হযরতকে ধাক্কাধাক্কি করে হযরত মাটিতে পড়ে। এসময় হযরতের কন্যা সাহিনা বাধা দিতে গেলে তাকেও প্রায় বিবস্ত্র করে পিটানো হয়। এতে সাহিনা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সাহিনার মাথার হাড় ভেঙে গেছে, এখানো তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এবিষয়ে জানতে চাইলে সাদিকুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুকুর খনন নিযে উভয় পক্ষের কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাহিনার মাথায় সামান্য লাঠির আঘাত লেগেছে। এবিষয়ে সাহিনার পিতা হযরত বলেন, তার কোনো ছেলে নাই, এই মেয়ে সংসার দেখভাল করে। তাকে হত্যার উদ্দেশ্য তার মাথায় আঘাত করেছে সাদিকুল। তিনি এই ঘটনার বিচার চান।