হাউথিদের বিরুদ্ধে গোপন অভিযান গিয়ে মৃত্যু হয়েছে মার্কিন নৌসেনার নিখোঁজ দুই নেভি সিলস কমান্ডোর। অবশেষে জানাল মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ড বা সেন্টকম। বিশেষ ওই অভিযানে গিয়ে সমুদ্রে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। কয়েকদিন ধরেই তাঁদের অবস্থানের হদিশ মিলছিল না। অবশেষে থামল ১০ দিনের লড়াই। নিখোঁজ দুজনকে মৃত ঘোষণা করল মার্কিন ফৌজ।
এনিয়ে সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে সেন্টকমের তরফে জানানো হয়েছে, ‘গত ১১ জানুয়ারি থেকে দুই নেভি সিলস কমান্ডোর নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খুঁজতে সমুদ্রে চিরুনি তল্লাশি শুরু করা হয়েছিল। সমুদ্র তোলপাড় করে আমেরিকা, জাপান ও স্পেনের ফৌজ তাঁদের খুঁজতে অভিযান শুরু করেছিল। প্রায় ২১ হাজার স্কোয়ার মাইল তল্লাশি চালানো হয়েছিল। ফ্লিট নিউমেরিক্যাল মেটিওরোলজি এবং ওশানোগ্রাফি সেন্টারও আমাদের নিখোঁজ সঙ্গীদের খুঁজতে সাহায্য করেছিল। এই মুহূর্তে এর বেশি তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। ওই দুই কমান্ডোর পরিবারের জন্য আমাদের সমবেদনা রইল।’
উল্লেখ্য, মাস দুয়েক ধরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে লোহিত সাগর। সেখানে পণ্যবাহী জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হাউথিরা। ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করছে আমেরিকা। গত ১১ জানুয়ারি ইয়েমেনে হাউথিদের ঘাঁটিতে হামলাও চালিয়েছিল ব্রিটেন ও আমেরিকা। এই প্রেক্ষাপটে হাউথিদের অস্ত্রভাণ্ডার খুঁজে বের করতে গোপন অভিযান শুরু করেছে মার্কিন নৌবাহিনী। মিশনের অন্তর্গত গত ১১ জানুয়ারি আরব সাগরে নোঙর করে মার্কিন রণতরী। সোমালিয়া উপকূলে থাকা জাহাজটি থেকে অভিযান শুরু করে মার্কিন নৌসেনার নেভি সিলস।
জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় নজরদারির পাশাপাশি হাউথিদের অস্ত্রভাণ্ডার খুঁজে বের করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল নেভি সিলস কমান্ডোদের। ওই অঞ্চলে তল্লাশির পর হাউথিদের বড়সড় অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজ পায় তারা। বাজেয়াপ্ত করা হয় সেই সমরাস্ত্র। সেগুলোর মধ্যে ছিল, ইরানে তৈরি ব্যালিস্টিক মিসাইলের অংশ, ক্রুজ মিসাইল, জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র-সহ একাধিক অস্ত্রশস্ত্র। এই হাতিয়ারগুলো দিয়েই হাউথিরা লোহিত সাগরে হামলা চালাত বলে অভিযোগ। সেই অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ২ মার্কিন কমান্ডো। তাঁদের উদ্ধার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছিল সেন্টকম।