২৯ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:৫২:০৮ পূর্বাহ্ন


বাঘায় ক‌লেজ ছাত্রকে মার‌পি‌টের ঘটনায় ইউনিয়ন আ’লীগ নেতাকে অবাঞ্চিত
শাহানুর রহমান বাবু (বাঘা)
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০১-২০২৪
বাঘায় ক‌লেজ ছাত্রকে মার‌পি‌টের ঘটনায় ইউনিয়ন আ’লীগ নেতাকে অবাঞ্চিত বাঘায় ক‌লেজ ছাত্রকে মার‌পি‌টের ঘটনায় ইউনিয়ন আ’লীগ নেতাকে অবাঞ্চিত


রাজশাহীর বাঘায় ফাহিম মোন্তাসির প্রান্ত (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখমের অভিযোগে, উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ- সমাবেশ করেছে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নের্তৃবৃন্দ ও এলাকাবা‌সি । রোববার (২১ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নের্তৃবৃন্দ এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

 সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান শফিক। বক্তব্য রাখেন বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন, ইউনুস আলী, শহিদুল ইসলাম বাবু, ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান পিংকু, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল করিম, বাউসা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান ভূট্ট, বাউসা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক মহিনুল ইসলাম, বাউসা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর শাকিম উদ্দিন প্রমুখ। 

বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান শফি জানান, ঘটনার মূল হোতা,বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেনকে দায়ী করে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে  তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে হয়েছে।  এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রায় ৩শতাধিক নারী- পুরুষ অংশ নেয়। 

জানা যায়, রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ফাহিম মোন্তাসির প্রান্ত বাউসা বাজারে সেলিম হোসেনের চায়ের স্টলে বসে ছিল। এ সময় বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেনের সহযোগিতায় কাজল হোসেন, রুবেল হোসেন, মারুফ হোসেনসহ ৮/৯ জনের একটি দল মুখে মাক্স পরা অবন্থায়  রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে চলে যায়।  তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ‌্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সে বাউসা কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাশ করেছে। ফাহিম মোন্তাসির প্রান্ত হাট বাউসা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।

এ বিষ‌য়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ঘটনা সম্প‌র্কে আমার কিছুই জানা নেই। তবে লোকমুখে শুনেছি ফাহিম মোন্তাসির প্রান্ত নামে ছাত্রলীগের এক ছেলেকে কে বা কারা মেরেছে।  আমাকে কি কারনে অবাঞ্চিত করে বিক্ষোভ করেছে বিষয়টি আমার জানা নেই।

বাঘা থানার অ‌ফিসার ইনচার্জ (ওসি )আমিনুল ইসলাম বলেন, মারপিটের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ‌া নেয়া হ‌বে।