২৯ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৯:৫২:২৭ পূর্বাহ্ন


সাংবাদিকদের তথ্য দেয়ায় দোকানে আগুন দেয়ার অভিযোগ মাদক কারবারী শ্যামলীর বিরুদ্ধে
রাজশাহী প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০১-২০২৪
সাংবাদিকদের তথ্য দেয়ায় দোকানে আগুন দেয়ার অভিযোগ মাদক কারবারী শ্যামলীর বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের তথ্য দেয়ায় দোকানে আগুন দেয়ার অভিযোগ মাদক কারবারী শ্যামলীর বিরুদ্ধে


রাজশাহী মহানগরীতে মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে মাধ্যমকর্মীদের বক্তব্য দেওয়ায় পেট্রোাল ঢেলে চায়ের দোকানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদক সম্রাজ্ঞী শ্যামলীর বিরুদ্ধে।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শিরোইল কলোনি রেলওয়ে খেলার মাঠ সংলগ্ন এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী নিশা বেগম বাদি হয়ে চন্দ্রিমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী দোকান মালিক মোসাঃ নিশা বেগম (৩৭), তিনি চন্দ্রিমা থানাধীন শিরোইল কলোনী (রেলওয়ে বস্তি) এলাকার আজাহার আলীর স্ত্রী। 

তিনি জানান, আমাদের বসত বাড়ি থেকে ২০০ গজ পূর্বে রেলওয়ে খেলার মাঠ। সেই মাঠের পশ্চিম কোনে পাকা রাস্তার ধারে আমার একটি চায়ের দোকান রয়েছে। সেই দোকানে চায়ের ব্যবসা করে আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। আমাদের উপার্জনের একমাত্র সম্বল ওই দোকানটি। স্বামী অসুস্থ থাকার কারণে কোন কাজ কর্ম করতে পারেনা।

তিনি আরও বলেন, আমার বাড়ির পাশে শ্যামলী বেগম নামের একজন মাদক কারবারী বসবাস করে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যম-কর্মীরা আমার চায়ের দোকানে এসে তার বিষয়ে জানতে চায়। আমি সরল মনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেই। পরের দিন বিভিন্ন পত্রিকা-সহ অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইউটিউবে সংবাদটি ভাইরাল হয়।

এরই জের ধরে সোমবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে মাদক কারবারী শ্যামলী আমার বসত বাড়ির মেইন গেটের সামনে এসে আমার পরিবারের সাবাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে চলে যায় এরপর রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শ্যামলী ও তার ভাড়াটিয়া মাদকাশক্তরা আমার চায়ের দোকানে পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।

পরে রেলওয়ের কর্মচারী সোহেল ও আসাদুল ইসলাম আমাকে সংবাদ দিলে আমি দ্রুত আমার চায়ের দোকানে যাই। ততক্ষনে দোকানের সমস্ত জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে ছাই। রক্ষা করার মতো অবশিষ্ট কিছুই নেই। আমি অত্যান্ত গরিব মানুষ। রেলের জমিতে ঘর বানিয়ে কোনরকম পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করি। আমার একমাত্র উপার্জনের পথ সেটাও বন্ধ হয়ে গেল। এখন আমি কী করে খাবো বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিশা বেগম।

স্থানীয় প্রশাসন দু-একজন হেরোইন খোর আটক করলেও মাদক কারবারী শ্যামলী থাকে বহাল তবিয়্যতে। তার বিরুদ্ধে কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয় না পুলিশ।  এমনি অভিযোগ স্থানীয়দের। চায়ের কোনে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার পরও আটক হয়নি মাদক কারবারী শ্যমলী। এ নিয়ে পথে, ঘাটে, চায়ের কোনে ও স্থানীয়দের মাঝে নানা ধরনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সেই সাথে চাপা ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে স্থানীদের মাঝে। 

এব্যাপারে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহবুব আলম বলেন, দোকানে আগুন দেওয়ার ঘটনায় শ্যামলীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী চা দোকানী। ইতিমধ্যে তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ বলেও জানায় ওসি।