পিকনিকে গিয়ে যে এরকমভাবে যে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তা কল্পনা করতে পারেনি পরিবার থেকে শুরু করে পাড়াপড়শিরা। যার ফলে পিকনিকের আনন্দ বদলে গেল বিষাদে। পিকনিক করে ফেরার পথে জেনারেটরের বেল্টে মাথার চুল আটকে মৃত্যু হল দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার গোমাই গ্রামে। মৃতার নাম ঝুমা দাস (১৫)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কেতুগ্রাম আশুতোষ মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউশনের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল ঝুমা দাস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝুমা বন্ধু এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী অম্বল গ্রামের একটি রেলসেতুর নিচে পিকনিক করতে গিয়েছিল। সেই দলে অনেকেই ছিলেন। পিকনিক শেষে তারা বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় মোটর ভ্যানে চলন্ত জেনারেটরের পাশে বসেছিল ওই কিশোরী। তাতেই ঝুমার মাথার চুল জড়িয়ে যায়। ঘটনায় ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে ঝুমা। সঙ্গে সঙ্গে জেনারেটর বন্ধ হয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখতে পান ঝুমা নিজে পড়ে গিয়েছে। তখন ঝুমাকে তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করার পর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় মৃত্যুদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমেছে।
জানা গিয়েছে, পিকনিক শেষে নাচতে নাচতে বান্ধবীদের সঙ্গে ফিরছিল ওই কিশোরী। সেই পথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। সোমবার তারা ঈশানী নদীর তীরে পিকনিক করতে গিয়েছিল। সেই দলে ৪০ থেকে ৫০ জন ছিল। বাড়ি ফেরার সময় জেনারেটরের সাহায্যে মাইক বাজিয়ে চলছিল নাচ গান। মোটর ভ্যান ধীরে ধীরেই যাচ্ছিল। তাতেই বসতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। তখন তার মাথার চুল খোলা ছিল। তবে সেই সময় জেনারেটর লক্ষ্য করেনি কিশোরী। তাতেই তার মাথার চুল বেঁধে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। ঘটনার পরেই আশেপাশের যে সমস্ত মেয়ে ছিল তারা সকলেই চিৎকার করে ওঠে। তারা তড়িঘড়ি ঝুমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। কিন্তু হাসপাতালে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।