২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৯:৩৪:৪২ পূর্বাহ্ন


নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার জন্য ইজরায়েলে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০১-২০২৪
নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার জন্য ইজরায়েলে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার জন্য ইজরায়েলে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন


তিন মাস পূর্ণ হয়ে গেছে হামাস বনাম ইজরায়েল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের। কিন্তু লড়াই থামার নাম নেই। প্রতিদিনই ঝরছে রক্ত। এই  সংঘাত যাতে দীর্ঘস্থায়ী না হয় এবং বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে এই লড়াই যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেই বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকা। এনিয়ে ইজরায়েলের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য তেল আভিভ গেলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।  

রয়টার্স সূত্রে খবর, হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আরব দেশগুলোর সঙ্গে দুদিন বৈঠক করেছেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। কীভাবে এই সংঘাতে ইতি টানা যায় তার পথ খুঁজে বের করতে আলোচনাও হয়েছে। এর পরই তিনি সোমবার তেল আভিভে পা রাখেন। মঙ্গলবার তিনি ইজরায়েলের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করবেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, “আমি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলব। সাধারণ মানুষদের রক্ষা করতে ও মানবিক সহায়তা জারি রাখতে জোর দেব। যাঁদের সাহায্য প্রয়োজন তাঁদের কাছে যেন যথাযথভাবে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়। ইজরায়েল যাতে ঘরছাড়া প্যালেস্তিনীয়দের গাজায় নিজেদের ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেয় সেই নিয়েও নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলব।”

তবে জানা গিয়েছে, কোনও পরিস্থিতিতেই যুদ্ধ থামাতে নারাজ ইজরায়েল। এই বিষয়ে ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়াল হাগারি বলেন, “এই যুদ্ধ নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। একইভাবে উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালানো হচ্ছে। ২০২৪-এও এই লড়াই চলবে।” বলে রাখা ভালো, এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার প্যালেস্তিনীয়র। 

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের এই লড়াই থামাতে আমেরিকার চেষ্টার শেষ নেই। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সমস্ত শক্তির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চাইছে হোয়াইট হাউস। এমনকী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) নিজেও ইজরায়েল সফরে গিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছিলেন। উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন নারী-শিশু-সহ হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু নিয়ে। কিন্তু নেতানিয়াহু অনড় নিজের সিদ্ধান্তে। একাধিকবার হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলেছেন, হামাসের শেষ না দেখা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।