ফ্রান্সের প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী হলেন গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল। তিনি সেদেশের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীও। সোমবারই ইস্তফা দিয়েছিলেন এলিজাবেথ বর্ন। এর পরই ৩৪ বছরের অ্যাটালের মসনদে বসা প্রায় নিশ্চিতই হয়ে যায়। অবশেষে প্রত্যাশামতোই প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ তাঁকে বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে।
এই বছরের মাঝামাঝিই ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল করা শুরু করলেন ফরাসি (France) প্রেসিডেন্ট। ৬২ বছরের এলিজাবেথ দুবছরের সামান্য কম সময়ে প্রধানমন্ত্রী থাকার পরই অবসর নেন গতকাল। মনে করা হচ্ছে, তাঁর স্থলাভিষিক্ত অ্যাটাল দপ্তরের আদব কায়দায় বড় বদল আনতে চলেছেন। আর এর পিছনে সমর্থন রয়েছে প্রেসিডেন্টের। প্রবীণা এলিজাবেথের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা ও অ্যাটালকে নির্বাচিত করার অর্থ ভোটের আগে নবীন প্রজন্মকে তুলে ধরা, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তাছাড়া জনগণের কাছে এলিজাবেথের ভাবমূর্তি ততটা উজ্জ্বল নয়। অন্যদিকে অ্যাটাল খুবই জনপ্রিয়। এটাও তাঁকে নির্বাচিত করার অন্যতম কারণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অ্যাটাল ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। আর সেই পদে থাকাকালীনই তিনি সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছিলেন। কোভিড কাল থেকে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করা শুরু করেন। সম্প্রতি এক সমীক্ষাতেও ধরা পড়েছিল কতটা জনপ্রিয় তিনি। ভোটের আগে ‘রাজনৈতিক চাল’ দিতে সেই অ্যাটালকেই নির্বাচন করলেন ম্যাক্রঁ।
উল্লেখ্য, শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন আবায়ার মতো দীর্ঘ পোশাক, যা সাধারণত মুসলিমরা পড়েন, তা ক্লাসরুমে পরা নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।