গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া ৩ আসন থেকে অস্টমবারে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
রবিবার (৭জানুয়ারি) সাড়াদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।এ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া- ও টুঙ্গিপাড়া সংসদীয় ৩ আসন থেকে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্টমবারের মতো সংসদ সদস্য ( এমপি) নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী।এর আগে তিনি ৭বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৯ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ৩ বার সহ ৪ বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।এর মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া- টুঙ্গিপাড়া ৩ আসন থেকে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে বেশিবার নির্বাচিত হয়েছেন।বর্তমানে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও রের্কড পরিমানের ভোট নিয়ে অস্টম বারের মতো নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এ আসনের আওয়ামীলীগ নেতারা।আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাংক নামে পরিচিত কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নীজ নির্বাচনী এলাকা। এ-আসন থেকে তিনি বরাবরই নৌকা মার্কায় শতভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে এমপিও দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসছেন। এ আসনে কখনোই তার নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে প্রচার প্রচারণা বা ভোট চাইতে আসা লাগেনা।
এখানকার ভোটাররাই শেখ হাসিনার পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালান এবং সবার দ্বারে দ্বারে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চান।কারণ যতো উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা তিনি শহরের সুবিধা দিয়াছেন গ্রামের মানুষকে। এখানে তার বিপক্ষে অন্য কোন দলের যদি এক-ডজন প্রার্থীও প্রতিদন্দীতা করে তাহলে তাদের জামানত থাকেনা। কোটালীপাড়ার মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমল থেকেই একক ভাবে মনে প্রানে আওয়ামীলীগ করেন এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আসছেন।এখানকার মানুষের যেমন অঘাত বিশ্বাস রয়েছে শেখ হাসিনার উপর তেমনি শেখ হাসিনাও এখানকার মানুষকে তেমন ভালোবাসেন এবং ভরসা করেন।এক কথায় শেখ হাসিনাই এখানকার ভোটারদের অভিভাবক।প্রচার প্রচারণা শেষে সরেজমিন ঘুরে স্হানীয় ভোটার জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতিক নিয়ে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন আমাদের এই আসনের নির্বাচন স্বচ্ছ ও ফ্রী-ফেয়ার হবে।কারণ আমরা যেমন সভা সমাবেশ করে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদানের জন্য আহব্বান জানিয়েছি তেমনি আমাদের প্রতিদন্দী প্রার্থীরাও সমান সুযোগ সুবিধা নিয়ে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদানের আহব্বান জানিয়েছে।আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কয়েকটি নির্বাচনী জনসভা এবং গণসংযোগ করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি এ-উপজেলার ভোটাররা উৎসব মুখর পরিবেশে ৭ তারিখ রবিবার প্রানপ্রীয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।
আমাদের ভোটে শেখ হাসিনা এ আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে এমপি ও একটানা চতুর্থ বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে আমি মনে করি।তিনি বলেন আমাদের এই আসনে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই পাচঁজনের স্হানে অন্য কোন দলের ১০ জন প্রতিদন্দী প্রার্থী থাকলে ও আমাদের কিছু আসে যায়না কারণ এখানকার ভোটাররা শেখ হাসিনাকেই বেছে নিয়েছেন, কারণ এখানকার ভোটাররা শেখ হাসিনাকে ছাড়া আর কাউকে চিনেন না এবং ভোট দিবেননা।
এবারের নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আরো ৫ জন প্রার্থী তাদের প্রতিক নিয়ে প্রতিদন্দীতা করছেন।শেখ হাসিনার সাথে যারা প্রতিদন্দীতা করছেন তারা হলেন একতারা প্রতিক নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এম নিজামুদ্দিন লস্কর, গোলাপ ফুল প্রতিক নিয়ে জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্লা সাহিন,ডাব প্রতিক নিয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেস এর মোঃ সাহিদুল ইসলাম (মিটু),আম প্রতিক নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ আবুল কালাম ও মাছ প্রতিক নিয়ে গণফ্রন্টের সৈয়দা লিমা হাসান। এ-দুটি উপজেলায় ২ লক্ষ ৯০ হাজার ২ শত ৫৪ জন ভোটার রয়েছেন এর মধ্যে কোটালীপাড়ায় সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে কোটালীপাড়ায় ১ লক্ষ ৩ হাজার ৭ শত ১৬ জন পুরুষ ও ৯৭ হাজার ৮ শত ১৮ জন নারীসহ ১ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। আজ ৭ জানুয়ারি রবিবার কোটালীপাড়ার ভোটাররা এবার ৭৭ টি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ৪১৩ টি কক্ষে ভোট প্রদান করে শেখ হাসিনাকেই নির্বাচিত করবেন বলে জানিয়েছেন ।