টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে দুই বিমানের সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রানওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা জাপানি উপকূলরক্ষীবাহিনীর বিমানে ধাক্কা মারে জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। এতে দু’টি বিমানেই আগুন ধরে যায়। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে যাত্রীবাহী বিমানটি। ওই বিমানে আট শিশু এবং ১২ জন ক্রু সদস্য সহ মোট ৩৭৯ জন ছিলেন। তাঁদের নিরাপদে উদ্ধার করা গেলেও, উইপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমানে থাকা ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমানটি ছিল একটি এমএ৭২ ফিক্সড-উইং বিমান। সোমবার জাপানে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প এবং সুনামির পর, উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল বিমানটি। সেইজন্যই অপেক্ষা করছিল রানওয়েতে। জাপানের পশ্চিম উপকূলের নিগাতা বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা ছিল বিমানটির। একটি বিমান দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কীভাবে অন্য একটি বিমান রানওয়েতে চলে এল সে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, উপকূলরক্ষীবাহিনীর বিমানটির পাইলট রক্ষা পেলেও বাকি ক্রু সদস্যদের বাঁচানো যায়নি। পাঁচ জন কোস্ট গার্ডেরই মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বিমানে আগুন লেগে যাওয়ায় ওই পাঁচজনেরই পুড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান। ঘটনার পর হানেদা বিমানবন্দরের সমস্ত রানওয়েগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে।
জাপানি এয়ারলাইন্সের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যাত্রীবাহী বিমানটি হোক্কাইডো দ্বীপের শিন-চিটোসে বিমানবন্দর থেকে টোকিয়োর হানেদা বিমানবন্দরে টেক অফ করছিল। অবতরণের সময়ই কোস্টগার্ড বিমানের সঙ্গে সেটির সজোরে ধাক্কা লাগে। তা থেকেই আগুন ধরে যায় বিমানটিতে। যাত্রীবাহী বিমানটিতে যাত্রী এবং ক্রু সদস্য মিলিয়ে মোট ৩৭৯ জন ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, যাত্রীবাহী বিমানটির নীচের অংশে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। জ্বলন্ত বিমানটি থেকে ধীরে ধীরে যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। তারপর শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ।
৭০টিরও বেশি দমকল ইঞ্জিন এসে বিমানে আগুন নেভায়। যাত্রীবাহী বিমানটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে খবর। সেটি মাঝখান থেকে দু’টুকরোও হয়ে গেছে।