ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই বিশেষ ছাড়ে রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা এবং পশ্চিমি দেশগুলির রাজনৈতিক চাপ সত্ত্বেও নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছে ভারত। সেই অশোধিত তেল আবার ভারতের থেকে পরিশোধিত হয়ে রফতানি করা হয়েছে ইউরোপ, আমেরিকাতেই। তবে বিগত একমাস ধরে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির পরিমাণ কমেছে। জানা গিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে লেনদেনে সমস্যার জেরেই এই গ্রাফ নিম্নমুখী হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ার পূর্ব প্রান্ত থেকে সোকোল অশোধিত তেল বহনকারী এনএস কমান্ডার, সাখালিন আইল্যান্ড, ক্রিমস্ক, নেলিস এবং লিটেইনি প্রসপেক্ট নামক পাঁচটি জাহাজ মালাক্কা প্রণালীর দিকে এগোচ্ছে ৭ থেকে ১০ নট গতিতে। এদিকে এনএস সেঞ্চুরি নামক একটি জাহাজ শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি জায়গায় আছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার লেনদেনের সমস্যার মাঝে এই সব তেল বহনকারী জাহাজ হয়ত চিনা বন্দরের দিকে যাত্রা করছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সবচেয়ে কম রাশিয়ান তেল আমদানি করেছে ভারত। এর মূল কারণ লেনদেনে সমস্যা। এই আবহে জানুয়ারির প্রথম তিনদিনে রাশিয়ার একটি জাহাজও ভারতীয় বন্দরে আসেনি।
এর আগে আমেরিকার তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়, রাশিয়ার থেকে কেউ যেন ৬০ ডলার প্রতি ব্যারেলের কমে তেল না কেনে। এদিকে বিশ্ব ব্যাঙ্কিং লেনদেন ব্যবস্থা সুইফট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে রাশিয়াকে। এই পরিস্থিতিতে ডলারে লেনদেন করতে পারছে না রাশিয়া। এই কারণে ভারতীয় মুদ্রা বা রাশিার মুদ্রাতেই দিল্লি আর মস্কোর মধ্যে লেনদেন হচ্ছে। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ে ভারত তেল কেনায় লাভবান হয়েছে রাশিয়া।
এদিকে জানা গিয়েছে মালাক্কা প্রণালীতে থাকা এনএস কমান্ডার, সাখালিন আইল্যান্ড, ক্রিমস্ক এবং লিটেইনি প্রসপেক্টে ৭ লাখ ব্যারেল অশোধিত তেল রয়েছে। এদিকে নেলিস নামক ট্যাঙ্কার জাহাজটিতে প্রায় ১৪ লাখ ব্যারেল তেল রয়েছে। এই সবকটি জাহাজ রুশ সরকারি শিপিং সংস্থা সোভকমফ্লোট পিজেএসসি-র দ্বারা পরিচালিত।
বর্তমানে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা সিকিম এবং উত্তরবঙ্গের পাহাড়ের উপর দিয়ে যাচ্ছে। এরই মাঝে উত্তর পশ্চিম ভারত থেকে ঠাণ্ডা বাতাস ঢুকছে পূর্ব ভারতে। উত্তুরে হাওয়ার কারণে পরদ কিছুটা নেমেছে বাংলায়। এই আবহে দশদিন পরে ফের শহর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছেছে।
বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে সম্প্রতি। গতকাল সেই ঘূর্ণাবর্তটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এই ঘূর্ণাবর্তের প্রত্যক্ষ কোনও প্রভাব এই মুহূর্তে বাংলায় পড়ছে না। ঘূর্ণাবর্তটি ক্রমেই দক্ষিণ শ্রীলঙ্কার উপকূল থেকে পূর্ব দিকে সরে আন্দামানের দিকে যাচ্ছে বলে দেখা গিয়েছে। আপাতত এই ঘূর্ণাবর্তের শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কোনও সম্ভাবনার কথা জানায়নি হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৩ জানুয়ারি, বুধবার, দক্ষিণঙ্গের সব জেলার আবহাওয়াই শুষ্ক থাকবে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় বুধবার কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে ভোরের দিকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ঢাকা পড়বে কুয়শার চাদরে।
এরপর বৃহস্পতিতেও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। হালকা বৃষ্টি হতে পারে শুধু পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায়। এরপর ৫ এবং ৬ জানুয়ারি বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৫ জানুয়রি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে খুবই হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপর ৬ তারিখও হালকা বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে। ৭ তারিখ অবশ্য দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় বৃষ্টি হবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
এদিকে দু'দিন পর থেকে গাঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রাও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, ৪ জানুয়ারি কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে। এরপর ৫ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি কলকাতার সর্বনিম্ন পারদ ১৭ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে পারে। এই ক'দিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করতে পারে।
এরপর বৃহস্পতিতেও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। হালকা বৃষ্টি হতে পারে শুধু পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায়। এরপর ৫ এবং ৬ জানুয়ারি বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৫ জানুয়রি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে খুবই হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপর ৬ তারিখও হালকা বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে। ৭ তারিখ অবশ্য দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় বৃষ্টি হবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।