২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১২:৪২:০৪ অপরাহ্ন


ইজরায়েলের হামলায় গাজায় মৃত্যুর মিছিল, আকাশজুড়ে বারুদের গন্ধ!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১২-২০২৩
ইজরায়েলের হামলায় গাজায় মৃত্যুর মিছিল, আকাশজুড়ে বারুদের গন্ধ! ইজরায়েলের হামলায় গাজায় মৃত্যুর মিছিল, আকাশজুড়ে বারুদের গন্ধ!


পুরো বিশ্বে এমন হামলা খুব কমই দেখা গেছে। ইজরায়েলের বুকে যে এমন হামলা হতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। ৭ অক্টোবর অন্যান্য দিনের মতোই কাটছিল ইজরায়েলে। পুরো বিশ্বকে অবাক করে সড়ক, জলপথ এবং আকাশপথে একযোগে ইজরায়েলের সীমান্তবর্তী সেনা ছাউনি এবং শহরগুলির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হামাস স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা। ওই হামলায় ইজরায়েলের সেনা-সাধারণ মানুষ মিলিয়ে কমপক্ষে দেড় হাজার বাসিন্দা নিহত হন। এদিন এক হাজার জনের বেশি মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।

হামলার ঘোর কাটিয়ে একদিনের মধ্যে পাল্টা হামলা শুরু করে ইজরায়েল। এরপর গাজার সাধারণ মানুষের বসতি লক্ষ্য করে হামলা একের পর এক মিসাইল হামলা দখলদার ইজরায়েলি সেনারা। ফলে হাজার হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। নিহতের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। যদিও ইজরায়েলের দাবি, হামাসের ঘাটিগুলি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে যুদ্ধের প্রথম কদিন গাজায় পানি এবং বিদ্যুৎ পরিষেবাও বন্ধ করে দেয় দখলদার ইজরায়েল। যদিও আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে কদিন পরে পানি এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়।

এরপরেই ইজরায়েলের স্থল বাহিনী গাজায় প্রবেশ করে। অন্যদিকে, গাজা ছেড়ে প্রচুর মানুষ পালাতেও শুরু করেন। ইজরায়েলের বরাবর অভিযোগ, গাজায় অভ্যন্তরে প্রচুর সুড়ঙ্গ রয়েছে। এই সুড়ঙ্গগুলির মধ্যেই আত্মগোপন করে থাকে হামাস যোদ্ধারা। ধারনা করা হয়, সেই সব সুড়ঙ্গগুলিতেই পণবন্দিদের আটকে রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকজন পণবন্দিকে উদ্ধারও করে ইজরায়েল। এমনকী ইজারায়েলের হামলায় মৃত্যু হয়েছে হামাসের প্রচুর নেতারও।

৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সেই যুদ্ধ এখনও লাগাম টানেনি। মাঝে বেশ কয়েকদিন শান্তিরক্ষা করা হয়েছিল দু পক্ষের। বন্দি প্রত্যপর্ণও করা হয়। কিন্তু গাজা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রায় ৩ মাসের এই যুদ্ধ এখনও লাগাম টানেনি। প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, ইজরায়েলের হামলার অন্তত ২১ হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৬০ হাজারের কাছাকাছি। আড়াই মাসের বেশি এই যুদ্ধে নির্বিচারে যুদ্ধপরাধের মতো ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কবে এই যুদ্ধ থামবে, বারুদের গন্ধ আদৌ কমবে কিনা, সেটা সময়ই বলবে।