পর পর দু’বার জোরালো ভূমিকম্প জাপানে। কেঁপে উঠল কুরলি দ্বীপ এবং সংলগ্ন এলাকা। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল অনেকটাই বেশি। ফলে কম্পনে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো ৪৫ মিনিটে জাপানে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৫। জোরালো কম্পনের রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আবার কেঁপে ওঠে দ্বীপের মাটি। কুরলি দ্বীপে বিকেল ৩টে ৭ মিনিট নাগাদ আবার ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এ বার কম্পনের মাত্রা হয় ৫। দু’টি ভূমিকম্পের মাঝে ব্যবধান ছিল মাত্র ২২ মিনিটের।
জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র বা ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে অন্তত ১০ কিলোমিটার গভীরে। তারই আফ্টারশক বা ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পনে দ্বীপটি আবার কেঁপে ওঠে।
জাপানের পূর্ব উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর অবস্থিত কুরলি দ্বীপ। জাপানের মূল ভূখণ্ড থেকে যার দূরত্ব দেড় হাজার কিলোমিটারের বেশি। জোরালো ভূমিকম্পের ফলে সংলগ্ন সমুদ্রে সুনামি সতর্কতা জারি হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর তাইওয়ানে জোরালো ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। গভীরতা ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার।