২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৪:২৪:৪৫ অপরাহ্ন


ইউক্রেনে রুশ হামলার শঙ্কা, মার্কিনিদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০১-২০২২
ইউক্রেনে রুশ হামলার শঙ্কা, মার্কিনিদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ফাইল ফটো


ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে বলে আবারও শঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ প্রেক্ষাপটে মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের স্বজনদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা।

সেইসঙ্গে ‘সম্ভাব্য হয়রানি’ এড়াতে মার্কিনিদের ইউক্রেন ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সোমাবর বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু তাই নয়, কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতেও বলা হয়েছে।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এ নির্দেশনা এলো। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, ইউক্রেনে হামলা চালাতেই সীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। তবে রাশিয়া এ দাবি অস্বীকার করে আসছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে যে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বড় ধরনের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া।’

কিয়েভে মার্কিন দূতাবাস।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাস খোলা থাকবে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বার বার সতর্ক করা হচ্ছে যে, একটা আক্রমণ যে কোনো সময় আসতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের সরকার ‘আকস্মিক কোনো পরিস্থিতির মধ্যে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নেয়ার মতো পরিস্থিতিতে’ যুক্তরাষ্ট্র সরকার নেই।

পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান সতর্ক করে বলেছেন যে, (ইউক্রেন) সীমান্তে ১ লাখের বেশি রুশ সেনা মোতায়েন করার প্রেক্ষিতে ইউরোপে নতুন করে সংঘর্ষ হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে অস্ত্র-সরাঞ্জাম সরবরাহ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শনিবার তারা সেখানে ৯০ টনের মতো ‘প্রাণঘাতি অস্ত্র’ সরবরাহ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে- যুদ্ধে সামনে থেকে অংশ নেয়া সেনাদের জন্য অস্ত্রও।

সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কূটনীতিকদের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে কোনো সমঝোতা হয়নি।

ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে কঠোর জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন।

রাজশাহীর সময় / এফ কে