ইজ়রায়েলি হামলায় ৪৮ ঘন্টায় গাজ়ায় নিহত হয়েছেন ৩৯০ জন সাধারন নাগরিক। আহত কমপক্ষে ৭৩৪ জন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
শনিবার গাজ়ার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, যুদ্ধে প্রাণহানি ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।
ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন না-করা পর্যন্ত গাজ়ার যুদ্ধ থামবে না। পুরো বিশ্ব শান্তি-সমঝোতা নিয়ে ইজ়রায়েলের উপরে চাপ বাড়ালেও যুদ্ধের গতি বাড়ছেই।
যুদ্ধবিরতি চলাকালীন শতাধীক পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। কিন্তু এখনও শতাধিক ইজ়রায়েলি হামাসের ডেরায় আটকে রয়েছেন। তাঁরা কবে মুক্তি পাবেন, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। বরং মাঝেমধ্যেই মৃত্যুর খবর আসছে। এই মৃত্যু-তালিকায় নবতম নাম আমেরিকান-ইজ়রায়েলি নাগরিক ৭৩ বছর বয়সি গাডি হাগাই। ৭ অক্টোবর, ইজ়রায়েলের হামাসের হামলার দিন হাগাই ও তাঁর স্ত্রী জুডি কিবুৎজ় এলাকায় প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। সে সময়ে তাঁদের তুলে নিয়ে যায় হামাস। জুডি কোনও মতে তাঁর বন্ধুদের জানিয়েছিলেন, তাঁদের গুলি করা হয়েছে ও গাডি গুরুতর জখম। জুডি এখনও হামাসের হাতে বন্দি। গাডি মারা গিয়েছেন। তাঁর দেহ ফেরত দেয়নি হামাস।
ইজ়রায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজ়ায় স্থল-অভিযানে ৪৭১ জন সেনা নিহত হয়েছেন। অনেক সেনাও হামাসের হাতে বন্দি। হামাস নেতা হুসাম বাদরান বলেন, ‘‘যে প্রশ্নটা করা উচিত, তা হল ইজ়রায়েলিরা এ ভাবে আমাদের লোকজনকে মারছে কেন? আমাদের ঘরবাড়ি, সম্পত্তি কেন ধ্বংস করছে? ধর্মস্থান, স্কুলবাড়ি, কিছুই ছাড়ছে না ওরা। জল দিচ্ছে না, খাবার দিচ্ছে না। আমাদের প্রশ্ন না করে ওদের কাছে জানতে চান।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমরা দখলদার নই। অথচ প্যালেস্টাইনিদের এখনও কোনও স্বাধীন দেশ নেই।’’
বাদরানের আরও দাবি, ইজ়রায়েলি বন্দিরা যুদ্ধের কারণ নয়। তাঁর কথায়, ‘‘বন্দি-বিনিময় চালিয়ে যাওয়া যেত। কিন্তু যুদ্ধবিরতি না চললে সেটা সম্ভব নয়। তার পরেও আলোচনার টেবলে বসা যায়। মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আমরা সেই বার্তাও দিয়েছি। বন্দি-বিনিময়ের জন্য আমরা প্রস্তুত।’’