অতীতের মতো এবারও ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব আয়োজন করছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিন সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে প্রাথমিক স্তরের সব বই পৌঁছে গেলেও মাধ্যমিক স্তরের একটি শ্রেণির বই যথাসময়ে পৌঁছবে না। কারণ এই স্তরের পাণ্ডুলিপি প্রেসমালিকদের কাছে পৌঁছাতেই বিলম্ব করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রমও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চাঁদপুর ৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ১ জানুয়ারি তিনি নিজ এলাকায় থাকবেন। তার উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য এবার কুমিল্লায় পাঠ্যপুস্তক উৎসব আয়োজন করা হবে। প্রাথমিকের বই উৎসব এবার মিরপুরের ন্যাশনাল (সকাল) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী সংখ্যা ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন। তাদের জন্য বই ছাপা হচ্ছে মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি। প্রথম, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ছাপানো হয়েছে ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৪২৩ কপি বই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই সংখ্যা ৩ কোটি ৩৬ লাখ ১ হাজার ২৭৪টি। প্রাক-প্রাথমিকের জন্য ৬১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৮ কপি বই ছাপা হয়েছে।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৮ কপি, সপ্তম শ্রেণির ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার কপি, অষ্টম শ্রেণির জন্য ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৭১ কপি এবং নবম শ্রেণির জন্য ৫ কোটি ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ কপি বই ছাপা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (পাঁচটি ভাষায় রচিত) শিশুদের জন্য এবার মোট ২ লাখ ৫ হাজার ৩১ কপি বই ছাপা হচ্ছে। অন্য বইয়ের মধ্যে ৫ হাজার ৭৫২ কপি ‘ব্রেইল’ বই ছাপা হবে। তাছাড়া শিক্ষকদের ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৮টি ‘শিক্ষক সহায়িকা’ দেওয়া হবে।