২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০২:৫০:০০ অপরাহ্ন


৭ বছরের শিশুর সামনেই তার ভাই-বোনকে কেটে খেল অপহরণকারী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১২-২০২৩
৭ বছরের শিশুর সামনেই তার ভাই-বোনকে কেটে খেল অপহরণকারী প্রতিকী ছবি


একের পর এক শিশুকে অপহরণ করে তাদের হত্যা করে মাংস খেত। এখানেই শেষ নয়, শিশুদেহের সেই মাংস রান্না করে স্থানীয় দরগাতেও নাকি বিতরণ করত। বৃহস্পতিবার এই ভয়াবহ অভিযোগে পাক পঞ্জাবের মুজাফফরগড়ে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পাকিস্তান পুলিশ। পাক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিন পাঁচেক আগে, মুজাফফরগড়ের খান গড় এলাকা থেকে তিন শিশু নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল।

তাদের খোঁজ করতে গিয়েই এই বিকৃতমনস্ক ব্যক্তির সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।

নিখোঁজ তিন শিশুকে অভিযুক্ত ব্যক্তিই অপহরণ করেছিল বলে দাবি স্থানীয় পুলিশের। ওই তিন শিশুর মধ্যে দুজনকে সে নৃশংসভাবে হত্যা করে, তাদের মাংস খেয়েছে বলে অভিযোগ। তবে, আলি হাসান নামে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে পুলিশ অক্ষত অবস্থাতেই উদ্ধার করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই ওই ব্যক্তি সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আলি হাসান জীবিত থাকলেও ভয়ঙ্কর আতঙ্কে রয়েছে। সে জানিয়েছে, তার সামনেই তার ভাই আবদুল্লা এবং তার বোন হাফসাকে খুন করেছে এবং তাদের দেহ কেটে সেই রান্না করে খেয়েছে। আবদুল্লার বয়স ছিল তিন, আর হাফসার দেড় বছর।

পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুদের মেরে তাদের মাংস ওই ব্যক্তি শুধু নিজেই খায়নি, মুজাফফরগড়ের একটি স্থানীয় দরগাতেও সেই মাংস বিতরণ করেছিল। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর, মুজাফফরগড় পুলিশ সংলগ্ন এক ক্ষেত থেকে আবদুল্লার দেহাবশেষ এবং তাদের হত্যা করতে ও দেহ কাটতে যে ছুরিটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটি উদ্ধার করেছে। তবে, হাফসার দেহের কোনও চিহ্ন এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তার জন্য তল্লাশি এখনও জারি রয়েছে।

এদিকে, পাক পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার সময়, স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে বেধড়ক প্রহার করেছে। বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় এক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সে। তার জ্ঞানও নেই। জ্ঞান ফিরে আসলে তাকে জেরা করা হবে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তার কাছ থেকে আরও তথ্য জানা যাবে বলে আশা করছে পুলিশ। এর আগেও, এই ধরনের ঘটনা সে ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের। আবদুল্লা-হাফসাদের বাবা, ফৈয়াজের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা ও সন্ত্রাসের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। নিহত শিশুদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।