২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৩:২২:০১ অপরাহ্ন


স্পেনের কাছে জিএসপি প্লাস সুবিধা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১২-২০২৩
স্পেনের কাছে জিএসপি প্লাস সুবিধা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশের যেকোনো খাতে স্পেনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে।

 

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর)  ঢাকায় নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি অ্যাসিস বেনিতেজ সালাস বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, তাদেরকে (স্পেনের উদ্যোক্তারা) স্বাগত জানানো হয়েছে। তারা বাংলাদেশে তাদের পছন্দের যেকোনো খাতে বিনিয়োগ করতে পারবে।

সালাস তার দেশের কৃষিভিত্তিক শিল্পসহ বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি। এ সময় স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, স্পেনের হাসপাতাল ও কৃষি যন্ত্রপাতির মান খুবই ভালো। অনেক উদ্যোক্তা বাংলাদেশদ সফর করতে এবং এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। 

বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত উভয়েই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী স্পেনের কাছ থেকে জিএসপি+ সুবিধা চেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬০ হাজার বাংলাদেশি স্পেনে কাজ করছে এবং তারা উভয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কপ-২৫ এ অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী তার মাদ্রিদ সফরের কথা স্মরণ করেন।

স্পেনের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বিশেষকরে সামাজিক, রাজনৈতিক, আর্থিক ও নারী উন্নয়ন খাতে বাংলাদেশের নজিরবিহীন উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম নারীদের জন্য সংসদে সংরক্ষিত আসনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

‌‌‌‌‌‌না‌রীদের ক্ষমতায়ন করতে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু, আমরা তা কাটিয়ে উঠেছি বলে জানান তিনি।

স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত কোভিড-১৯ মহামারির সময় বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন। যার জন্য হতাহতের সংখ্যা খুবই কম ছিল। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।