০৪ মে ২০২৪, শনিবার, ০৩:৫২:৫১ পূর্বাহ্ন


সকাল সন্ধ্যার যে আমলে মিলবে নবিজির (সা.) শাফাআত
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১২-২০২৩
সকাল সন্ধ্যার যে আমলে মিলবে নবিজির (সা.) শাফাআত ফাইল ফটো


রাসুলের (সা.) জন্য দোয়া করা, দরুদ পড়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। আল্লাহ কোরআনে নবিজির জন্য সালাত ও সালাম পাঠের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন,

اِنَّ اللّٰهَ وَ مَلٰٓئِکَتَهٗ یُصَلُّوۡنَ عَلَی النَّبِیِّ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا صَلُّوۡا عَلَیۡهِ وَ سَلِّمُوۡا تَسۡلِیۡمًا

নিশ্চয় আল্লাহ নবির প্রশংসা করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবির জন্য দোয়া করে। হে মুমিনগণ, তোমরাও নবির ওপর দরুদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও। (সুরা আহজাব: ৫৬)

অনেকগুলো হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) তার জন্য বেশি বেশি দরুদ পড়তে উৎসাহ দিয়েছেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার জন্য একবার দরুদ পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন। (সহিহ মুসলিম) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বার্ণিত আরেকটি হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুলের জন্য দরুদ পাঠকারী কেয়ামতের দিন তার কাছে থাকবে। রাসুল (সা.) বলেন, কেয়ামতের দিন লোকদের মধ্যে ওই ব্যক্তিই আমার অধিক নিকটতম হবে, যে ব্যক্তি আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে। (সুনানে তিরমিজি)

আরেকটি হাদিসে সকালে ও সন্ধ্যায় দশ বার করে দরুদ পাঠ করলে নবিজি (সা.) শাফাআতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার জন্য সকালে দশবার এবং বিকেলে দশবার দরুদ পাঠ করবে, সে কেয়ামতের দিন আমার সুপারিশ পাবে। (মাজময়াউজ জাওয়ায়েদ)