০৪ মে ২০২৪, শনিবার, ০৮:৫৯:২৭ পূর্বাহ্ন


ভূমিকম্পের ব্যাপারে কোরআনে যা বলা হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-১২-২০২৩
ভূমিকম্পের ব্যাপারে কোরআনে যা বলা হয়েছে ফাইল ফটো


ভূমিকম্প মহান আল্লাহর একটি নিদর্শন। এর মাধ্যমে আল্লাহ বান্দাদের স্মরণ করিয়ে দেন তার শক্তি ও ক্ষমতার কথা। স্মরণ করিয়ে দেন মানুষের অক্ষমতা, ‍দুর্বলতা ও মুখাপেক্ষিতার কথা। ভূমিকম্পের মতো শাস্তিসমূহের ব্যাপারে মানুষকে সাবধান করে আল্লাহ তাআলা বলেন,

قُلۡ هُوَ الۡقَادِرُ عَلٰۤی اَنۡ یَّبۡعَثَ عَلَیۡکُمۡ عَذَابًا مِّنۡ فَوۡقِکُمۡ اَوۡ مِنۡ تَحۡتِ اَرۡجُلِکُمۡ

বলো, তিনি তো সক্ষম তোমাদের ওপর থেকে অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে তোমাদের ওপর আজাব প্রেরণ করতে। (সুরা আনআম: ৬৫)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসিররা বলেছেন, এ আয়াতে ‘পায়ের নীচ থেকে আজাব আসতে পারে’ বলে আল্লাহ ভূমিধ্বস, ভূমিকম্প, বন্যা ইত্যাদি দুর্যোগের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।

জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, যখন অবতীর্ণ হলো, আল্লাহ ‘তোমাদের ওপর থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম’ আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘হে আল্লাহ! আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি’, যখন নাজিল হলো, ‘অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম’ আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবার বললেন, ‘হে আল্লাহ! আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। (সহিহ বুখারি)

ভূমিকম্প কেয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কেয়ামত শুরু হবে ভূমিকম্পের মাধ্যমে। কোরআনের ‘জিলজাল’ বা ভূমিকম্প নামে একটি সুরা রয়েছে। সুরা জিলজালে আল্লাহ বলেছেন, (১) যখন প্রচন্ড কম্পনে পৃথিবী প্রকম্পিত হবে। (২) যখন পৃথিবী তার বোঝা বাইরে নিক্ষেপ করবে (৩) আর মানুষ বলবে, ‘এর কী হলো?’ (৪) সেদিন পৃথিবী তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে, (৫) যেহেতু তোমার রব তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। (৬) সেদিন মানুষ বিক্ষিপ্তভাবে বের হয়ে আসবে যাতে দেখানো যায় তাদেরকে তাদের নিজদের কৃতকর্ম। (৭) অতএব, কেউ অণু পরিমাণ ভালো কাজ করলে তা সে দেখবে, (৮) আর কেউ অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করলে তাও সে দেখবে।

ভুমিকম্পের মতো যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপদের সময় আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করা উচিত। আল্লাহর কাছে বিনীত হয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত। আল্লাহ বলেন, আর আমি তোমাদের আগের জাতিসমূহের কাছে বহু রাসুল পাঠিয়েছি, আমি তাদের ওপর ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও রোগ ব্যাধি চাপিয়ে দিয়েছি, যেন তারা নম্রতা প্রকাশ করে আমার সামনে নতি স্বীকার করে। তারা কেন বিনীত হয়নি, যখন তাদের ওপর আমার আজাব আসল? কিন্তু তাদের হৃদয় নিষ্ঠুর হয়ে গিয়েছে। আর তারা যা করত, শয়তান তাদের জন্য তা শোভিত করেছে। তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছিল, তারা যখন তা ভুলে গেল, আমি তাদের উপর সব কিছুর দরজা খুলে দিলাম। অবশেষে যখন তাদেরকে যা প্রদান করা হয়েছিল তার কারণে তারা উৎফুল্ল হল, আমি হঠাৎ তাদেরকে পাকড়াও করলাম। তারা তখন হতাশ হয়ে গেল। (সুরা আনআম: ৪২-৪৪)