২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:২৪:২৬ অপরাহ্ন


পরিচ্ছন্নতাই সুস্বাস্থ্যের প্রতীক, পুরুষরা নিজেদের যত্ন নেবেন যে ভাবে
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১১-২০২৩
পরিচ্ছন্নতাই সুস্বাস্থ্যের প্রতীক, পুরুষরা নিজেদের যত্ন নেবেন যে ভাবে ফাইল ফটো


কাজের চাপ, স্ট্রেস অথবা সচেতনতার অভাব, নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করেন বহু পুরুষই। সঠিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন না তারা। আর যথাযথ পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলে কিংবা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। শরীরে ও ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।

আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী কী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা পুরুষদের ক্ষেত্রে একান্তই আবশ্যিক।

সময়মতো স্নান করা: যদি সকালে এক্সারসাইজ বা ওয়ার্কআউট করার অভ্যাস থাকে, তা হলে অবশ্যই শরীরচর্চার পর স্নান করুন। কারণ শরীর থেকে যে ঘাম বা ময়লা বেরোয় তা পরিষ্কার করে ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করবে স্নান। যারা ইনসমনিয়া বা অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য রাতে স্নান করা খুবই উপকারী। তাছাড়া, স্নান করলে গায়ের দুর্গন্ধের সমস্যাও দূর হয়। তাই শরীর ও ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন সময়মতো স্নান করা খুবই জরুরি।

মুখ ধোওয়া জরুরি: মুখগহ্বর হল জীবাণুর আতুঁড়ঘর। দাঁতের ফাঁকে খাবারের অবশিষ্টাংশ জমা হয়। দীর্ঘ দিন খাবারের টুকরো জমতে জমতে ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম হয়। যার ফলে মুখের ভিতরে সংক্রমণজনিত সমস্যা ডেকে আনে। দাঁতের ক্ষয় হয়। মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়। মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা দেখা দেয়। তাই দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে, মুখের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন ভালো করে মুখ ধোওয়া জরুরি। সকাল ও রাতে দু'বার দাঁত মাজার পাশাপাশি জিহ্বা পরিষ্কার করাও খুবই প্রয়োজনীয়।

দাড়ি ছাঁটা: গরমকালে নিয়মিত দাড়ি ছাঁটা দরকার। শীতকালে দাড়ি বড় হলে বিশেষ ক্ষতি নেই। তবে গরমের সময় দাড়ি বড় হলে, ঘাম ময়লা জমে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সপ্তাহে এক বার করে দাড়ি ট্রিম করুন। দাড়ি ভালো ভাবে পরিষ্কার করবেন। নিয়মিত তেল দিয়ে দাড়ি মালিশ করাও দরকার। এতে দাড়িতে সংক্রমণের সমস্যা হবে না। ঘন দাড়ি পেতে নিয়ম করে বিয়ার্ড অয়েল ব্যবহার করুন। দাড়ি কাটার পাশাপাশি সময়ে সময়ে নখ কাটা এবং পরিষ্কার করাও জরুরি।

অপরিষ্কার পোশাক পরবেন না: অন্তর্বাস এবং মোজা প্রতিদিন ডিটারজেন্ট দিয়ে ধোওয়া উচিত। একই অন্তর্বাস এবং মোজা দিনের পর দিন পরলে ভাইরাস, ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কবলে পড়তে পারেন। পরিষ্কার কাচা জামাকাপড় পরা শরীর ও ত্বক, উভয়ের জন্যই ভালো।

গোপনাঙ্গ পরিষ্কার রাখুন: যৌনাঙ্গ সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। যৌনাঙ্গ ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে এমনিতেই নির্দিষ্ট গন্ধ থাকে। অনেক সময় ওই জায়গায় অতিরিক্ত ঘামও হয়। তাই অপরিষ্কার থাকলে দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে। নিয়মিত গোপনাঙ্গ পরিচ্ছন্ন রাখা খুবই জরুরি। চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের 'ইন্টিমেট ওয়াশ'।

যতটা সম্ভব শুকনো রাখার চেষ্টা করুন যৌনাঙ্গ ও তার সংলগ্ন অঞ্চল। সেখানকার ত্বক ভেজা থাকলে বিভিন্ন ইনফেকশনের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তবে ভুলেও কখনও অন্যের তোয়ালে ব্যবহার করবেন না।

সহবাসের পর গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করুন: যৌন মিলনের আগে ও পরে অবশ্যই ভালো ভাবে পরিষ্কার করুন লিঙ্গ, কুঁচকি ও তার আশেপাশের অঞ্চল। নাহলে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশনের সম্ভাবনা থেকেই যায়।