শাবান মাস নফল রোজা পালনের সেরা সময় হিসেবে বিবেচিত। এ মাসের তুলনায় রমজান অন্য মাসে এতবেশি নফল রোজা রাখতেন না বিশ্বনবি। আর এ মাসে তিনি রোজা পালন, রাতজেগে ইবাদতের সামর্থ্য কামনায় বেশি বেশি দোয়া পড়তেন।
শাবান মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক বেশি। রমজানের পরিপূর্ণ ফসল আহরণে রজব মাসের পর শাবানের গুরুত্ব অপরিসীম। এ সম্পর্কে হজরত আবু বকর বালখি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
‘রজব হলো বীজ রোপনের মাস। আর শাবান হলো ওই বীজে সেচ দেয়ার মাস। অতঃপর রমজান হলো বীজ রোপন ও সেচ দেয়ার পর পরিপূর্ণ ফসল (ফায়েদা) ওঠানোর মাস।’
বরকতময় মাস রমজান পেতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে বেশি বেশি একাধিক দোয়া করতেন। তাহলো-
- اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি শাবান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। অর্থাৎ রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করুন।
আবার এভাবেও দোয়া করতেন-
- اَللَّهُمَّ بَلِّغْنَا رَمْضَان وَبَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَأعِنَا عَلَى صِيَامِهِ وَقِيَامِهِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বাল্লিগনা রামাদান ওয়া আইন্না আলা সিয়ামিহি ওয়া ক্বিয়ামিহি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন এবং রমজানে (দিনের বেলায়) রোজা পালন এবং (রাতের জেগে) নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন।’
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উদ্দেশ্য ছিল- আল্লাহ তাআলা যেন এ দোয়ার উসিলায় তার বান্দাদেরকে রমজান মাস জুড়ে অফুরন্ত কল্যাণ লাভের তাওফিক দান করেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজান পাওয়া এবং রমজানজুড়ে রোজা ও ইবাদত করার তাওফিক দান করেন। আমিন।