জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ওয়াজিব আমল হলো জুমার নামাজ। জুমার নামাজের গুরুত্ব বোঝাতে রাসুল (সা.) বলেছেন,
من تَرَكَ ثلاث جمعٍ تهاوناً بها طبع الله على قلبه
যে ব্যক্তি অলসতা করে ধারাবাহিকভাবে তিনটি জুমা ছেড়ে দেয়, আল্লাহ তা’আলা তার অন্তরে মোহর মেরে দেন। (সুনানে নাসাঈ: ১৩৭২)
অর্থাৎ সেই অন্তর হেদায়াত পাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়।
জুমার জামাতের ৪টি সুন্নত
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (সা.) জুমার জামাত সংশ্লিষ্ট ৪টি আমলের নির্দেশনা দিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إِذَا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فَاغْتَسَلَ الرّجُلُ، وَغَسَلَ رَأْسَهُ، ثُمّ تَطَيّبَ مِنْ أَطْيَبِ طِيبِهِ، وَلَبِسَ مِنْ صَالِحِ ثِيَابِهِ، ثُمّ خَرَجَ إِلَى الصّلَاةِ، وَلَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَ اثْنَيْنِ، ثُمّ اسْتَمَعَ لِلْإِمَامِ، غُفِرَ لَهُ مِنَ الْجُمُعَةِ إِلَى الْجُمُعَةِ، وَزِيَادَةُ ثَلَاثَةِ أَيّامٍ.
জুমার দিন যে ব্যক্তি মাথা ধুয়ে গোসল করে, উত্তম আতর ব্যবহার করে এবং তার উত্তম পোশাক পরিধান করে, তারপর নামাজের উদ্দেশে বের হয়, মসজিদে গিয়ে কাতার ডিঙিয়ে সামনে যায় না, মনোযোগের সাথে ইমামের খুতবা শোনে, ওই ব্যক্তির এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের গোনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ ইবনে খুজায়মা: ১৪০৩)
এ হাদিস থেকে যে আমলগুলোর নির্দেশনা পাওয়া যায়
১. জুমার জামাতে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে ভালোভাবে গোসল করতে হবে।
২. সাধ্যের মধ্যে সর্বোত্তম সুগন্ধী ব্যবহার করে এবং উত্তম পোশাক পরিধান করে জুমার জামাতে যেতে হবে।
৩. জুমার জামাতে দ্রুত উপস্থিত হতে হবে এবং কারো কষ্টের কারণ হওয়া যাবে না। কাতার ডিঙিয়ে, মানুষের ঘাড়ের ওপর দিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা বা অন্যদের জন্য কষ্টকর যে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪. জুমার খুতবার সময় কথা বলা যাবে না। মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনতে হবে।
জুমার দিন এ সহজ ৪টি আমল করলে আশা করা যায় আল্লাহ আমাদের দশ দিনের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।