২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১২:৪৮:২৬ অপরাহ্ন


ঠাকুরগাঁওয়ে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় নিহত ১, সড়ক অবরোধ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৩-২০২২
ঠাকুরগাঁওয়ে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় নিহত ১, সড়ক অবরোধ ঠাকুরগাঁওয়ে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় নিহত ১, সড়ক অবরোধ


ঠাকুরগাঁওয়ের কাজি পাড়ায় দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় ‘গোপনাঙ্গ চেপে ধরে’ আহত হওয়ার পর চিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া বাদাম বিক্রেতা জাবেদের (২৮) লাশ নিয়ে রাস্তায় নেমেছে এলাকাবাসী। সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছে হাজারো মানুষ।

মঙ্গলবার(১৫ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদরের কালিতলা এলাকায় জাবেদ ইসলামের লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করতে দেখা যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচারের বিষয়ে গড়িমসি করার চেষ্টা করছে। তারা এই হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাইছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। সঠিক বিচারের নিশ্চয়তা পেলেই আমরা রাস্তা ছেড়ে যাব।

এর আগে ১২ মার্চ প্রতিবেশির সাথে ঝগড়ায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ঠাকুরগাঁও কাজিপাড়া এলাকার নূর ইসলামের ছেলে জাবেদ ইসলাম। একই দিনে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের পরিবার। 

১৩ মার্চ দুপুরে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে মৃত্যু হয় বাদাম বিক্রেতা জাবেদের। সেদিন বিকালেই মোহম্মদপুর ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নূর আলম সহ দুইজনকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। 

এ দিকে এলাকাবাসীর আন্দোলন ভিত্তিহীন দাবি করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘জাবেদের মৃত্যু নিশ্চত হতেই আমরা দুইজনকে গ্রেফতার করেছি। একইসাথে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। কি কারণে এলাকাবাসী গড়িমসির অভিযোগ করছে তা ঠিক বুঝতে পারছি না।’ 

গত সপ্তাহে (৭ মার্চে) গ্রামের দুই পরিবারের দুই ছোট বাচ্চা মাঠে খেলতে গিয়ে হাতাহাতি করে। এ নিয়ে পরিবার দু’টির মাঝে হাতাহাতি হয়। ১২ মার্চ তারা আবারও তর্কে জড়িয়ে মারামারি করে। মারামারিতে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়৷ এ সময় রনীর বৌ মামুনি আক্তারের বিরুদ্ধে জাবেদের ‘গোপনাঙ্গ চেপে ধরা’র অভিযোগ উঠে। কিছুক্ষণ পর জাবেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। 

রাজশাহীর সময় / এএইচ