মানুষের জীবনে যেমন ভালো সময় আসে, অনেক খারাপ সময়ও আসে। অনেক আশাভঙ্গ ও অপ্রাপ্তির মধ্য দিয়েও মানুষের জীবন এগিয়ে যায়। ইসলামের শিক্ষা হলো, ভালো ও খারাপ সব অবস্থায় আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে। শত প্রতিকুলতার মধ্যেও আশা হারানো যাবে না। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রহমত থেকে শুধু কাফের বা অবিশ্বাসীরাই নিরাশ হয়। আল্লাহ বলেন,
لَا تَایْـَٔسُوْا مِنْ رَّوْحِ اللهِ اِنَّهٗ لَا یَایْـَٔسُ مِنْ رَّوْحِ اللهِ اِلَّا الْقَوْمُ الْكٰفِرُوْنَ.
আর তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, আল্লাহর রহমত থেকে শুধু কাফেররাই নিরাশ হয়। (সুরা ইউসুফ: ৮৭)
শয়তানের ধোঁকায় পড়ে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয়ে পড়লেও আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর ক্ষমার আশা ছেড়ে দেওয়া যাবে না। আল্লাহ বারবার গুনাহগার বান্দাকে ক্ষমা করেন। গুনাহগার যখনই যথাযথভাবে লজ্জিত হয়, গুনাহ ছেড়ে দেয় এবং তওবা করে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন। কোরআনের অনেকগুলো আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন তিনি গাফুর ও রাহিম অর্থাৎ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। গুনাহ করে ফেললে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হতে নিষেধ করে সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আল্লাহ বলেন,
قُلْ يٰعِبَادِيَ الَّذِيْنَ اَسْرَفُوْا عَلٰۤي اَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوْا مِنْ رَّحْمَةِ اللهِ اِنَّ اللهَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ جَمِيْعًا اِنَّهٗ هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ.
বলো, ‘হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা জুমার: ৫৩)
কোরআনের আরেকটি আয়াতে একইরকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে আল্লাহ বলেছেন,
وَ مَنْ يَّعْمَلْ سُوْٓءًا اَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهٗ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللهَ يَجِدِ اللهَ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا.
যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে কিংবা নিজের ওপর জুলুম করবে তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, সে আল্লাহকে পাবে ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা নিসা: ১১০)