অনলাইন ডেস্ক: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার লাহিনী বটতলা এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে নাসির হোসেন (৩২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার বেলা ১টার দিকে সদর উপজেলার লাহিনী বটতলার খন্দকারপাড়া থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নাসির হোসেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়ন ভাদালিয়া কাথুলিয়া গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে। তিনি উপজেলার লাহিনী বটতলার খন্দকারপাড়ার শওকত আলীর মেয়ের জামাই।
জানা যায়, খন্দকারপাড়া এলাকার শওকত আলীর মেয়ে সুমাইয়া সুলতানা কাঞ্চনের (৩২) স্বামী ২০১৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এরপর ২০১৬ সালে প্রেমের সম্পর্কে সুমাইয়ার সাথে বিয়ে হয় কাথুলিয়া গ্রামের নাসির হোসেনের। সুমাইয়ার আগের পক্ষের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই নাসির তার বাড়িতে থাকতো এবং সুমাইয়া ঢকাতে চাকরি করতো। সুমাইয়া কুষ্টিয়াতে তার বাড়িতে বেড়াতে আসার কারণেনাসির তার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে রাত থাকে। পরদিন সকালেই তার মরদেহ পাওয়া য়ায়।
নাসির হোসেনের শশুরবাড়ির লোকজনের ভাষ্য, গতকাল রোববার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বেড়াতে আসে নাসির। পরে সকালে দেখা যায় ঘরে গলাই রশি দিয়ে ঝুলছে। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত নাসির হোসেনের ছোট ভাই নাজমুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার বড় ভাইকে তার শশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছিলো।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম জানান, পরিবারের লোকজন মরদেহটি নিচে নামিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
রাজশাহীর সময় / এফ কে