১৮ মে ২০২৪, শনিবার, ০৮:০৯:৩০ অপরাহ্ন


ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনে সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮৮ টাকা
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-১১-২০২৩
ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনে সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮৮ টাকা ফাইল ফটো


চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ চালু হচ্ছে আগামী ১ ডিসেম্বর। ঐদিন থেকেই শুরু হবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। এর মধ্যদিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। আর ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যেতে সর্বনিম্ন ভাড়া গুনতে হবে ১৮৮ টাকা।

রেলসচিব হুমায়ুন কবির বলেন, ১ ডিসেম্বর আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি কমিউটার ও মেইল ট্রেন চালু হবে। ভবিষ্যতে এ রুটে পর্যটক কোচ চালু করা হবে। শুধু ঢাকা নয়, দেশের অন্যান্য অংশ থেকেও কক্সবাজারে রেলপথে আসা যাবে। এতে যোগাযোগের নতুন পথ উন্মোচন হবে।

তিনি আরো বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে রেল চালু হলেও কক্সবাজারের আইকনিক ঝিনুক স্টেশনে সবরকম সুবিধা পাওয়া যাবে না। পর্যায়ক্রমে এসব সুবিধা চালু করা হবে। এজন্য আরো কিছুটা সময় লাগবে।

রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান বলেন, ঢাকা থেকে যে ট্রেনটি কক্সবাজার আসবে সেটি সকাল সাড়ে ১০টায় ছাড়বে। আর কক্সবাজারে এসে পৌঁছাবে সাড়ে ৬টায়। পর্যায়ক্রমে এই রুটে আরো ট্রেন বাড়ানো হবে।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে কক্সবাজারের প্রকৃত দূরত্ব ১৫০ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। তবে রেলওয়ের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ১০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের সেতুর জন্য অতিরিক্ত ভাড়া ও দূরত্ব (পয়েন্ট চার্জ) নির্ধারণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে সাতটি সেতুর জন্য বাড়তি ৫৪ কিলোমিটারের ভাড়া আরোপ করা হয়েছে।

বাড়তি পয়েন্ট চার্জ যুক্ত করে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে বাণিজ্যিক দূরত্ব ২০৫ কিলোমিটার ধরে ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। এরসঙ্গে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের ৩২১ কিলোমিটারের বাণিজ্যিক দূরত্ব বিবেচনায় ঢাকা-কক্সবাজার পর্যন্ত ভাড়া পুনর্নির্ধারণ হবে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের সর্বমোট ৫৫১ কিলোমিটার বাণিজ্যিক দূরত্ব ধরে ভাড়া নির্ধারণ করা হচ্ছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এ পথে নন-এসি অর্থাৎ শোভন চেয়ারে ৫০০ টাকা ও এসি সিটে ৯৫০ টাকা ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে। এসি সিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ভাড়া হবে ১ হাজার ১০০ টাকা। ভ্যাটসহ এসি কেবিনে ১ হাজার ২০০ ও এসি বার্থে ভাড়া পড়বে ১ হাজার ৭২৫ টাকা।

রেলসচিব হুমায়ুন কবির বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করতে পারব। আর সেই ট্রেনে সর্বনিম্ন ভাড়া যেটি ধরা হয়েছে সেটি হচ্ছে ১৮৮ টাকা। আর এটি নন-এসি মেইল ট্রেন। সর্বোচ্চ ভাড়া এসি বার্থে ১ হাজার ৭২৫ টাকা। বর্তমানে রেলের যে ভাড়ার হার আছে সেই অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ রুটে দুটি ট্রেন চালানোর প্রস্তাব থাকলেও, ঢাকা থেকে প্রথমদিকে দিনে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলবে।

রেলওয়ে মহাপরিচালকের কার্যালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, দিনে একটি ট্রেন ঢাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টায় যাত্রা করে বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম স্টেশনে বিরতি দিয়ে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজারে পৌঁছাবে। কক্সবাজার থেকে দুপুর ১টায় যাত্রা করে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় ফিরবে। ফিরতি পথেও চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি করবে। মঙ্গলবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে ট্রেনটির।

ট্রেনটির ছয়টি নাম প্রস্তাব করেছে রেলওয়ে। এগুলো হলো- ‘প্রবাল এক্সপ্রেস’, ‘হিমছড়ি এক্সপ্রেস’, ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’, ‘ইনানী এক্সপ্রেস’, ‘লাবণী এক্সপ্রেস’ ও ‘সেন্টমার্টিন এক্সপ্রেস’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি নাম চূড়ান্ত করবেন।

ট্রেনে দুটি খাবার বগি, একটি পাওয়ার কার, তিনটি এসি কেবিন, পাঁচটি এসি চেয়ার, ছয়টি শোভন চেয়ার এবং একটি নন-এসি ফার্স্ট সিট বগি থাকবে। ঢাকা থেকে যাত্রার সময় আসন সংখ্যা হবে ৭৯৭। ফিরতি পথে আসন হবে ৭৩৭।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, আপাতত ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের তূর্ণা-নিশিথার বগি দিয়ে চালানো হবে ঢাকা-কক্সবাজারের ট্রেন। তূর্ণা নিশিথায় বিকল্প রেক দেওয়া হবে।