২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১১:৩২:৫১ পূর্বাহ্ন


হোসেনি দালানে বোমা হামলা: ৮ জেএমবির ভাগ্য নির্ধারণ আজ
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৩-২০২২
হোসেনি দালানে বোমা হামলা: ৮ জেএমবির ভাগ্য নির্ধারণ আজ হোসেনি দালানে বোমা হামলা: ৮ জেএমবির ভাগ্য নির্ধারণ আজ


পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রায় আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ)। গত ১ মার্চ আলোচিত এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ ভূঁইয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত ১ মার্চ এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। এরপর আদালত রায়ের জন্য ১৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।

২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে হোসেনি দালান এলাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এ ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় এসআই জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। প্রথমে মামলাটি চকবাজার থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরে এর তদন্তভার ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।

মামলাটি তদন্ত শেষে ডিবি দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ ২০১৬ সালের এপ্রিলে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ১০ জঙ্গিকে আসামি করে অভিযোগপত্র অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান।

মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ওই বছরের অক্টোবরে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আবদুল্লাহ বাকি ওরফে নোমান ছিলেন হোসেনি দালানে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। হামলার আগে ১০ অক্টোবর তারা বৈঠক করে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন।

বোমা হামলার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জাহিদ, আরমান ও কবির। কবির ও জাহিদ ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেন। হামলার পর আশ্রয়ের জন্য কামরাঙ্গীরচরে বাসা ভাড়া করেন আরমান ও রুবেল। ঘটনাস্থলে আরমান পরপর পাঁচটি বোমা ছোড়েন। বাকি পাঁচজন চান মিয়া, ওমর ফারুক, আহসানউল্লাহ, শাহজালাল ও আবু সাঈদ হামলার চিত্র ভিডিও করা ছাড়াও হামলায় উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা করেন। আসামি মাসুদ রানারও হামলায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগের দিন গাবতলীতে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে এএসআই ইব্রাহীম মোল্লাকে হত্যার সময় ঘটনাস্থলে গ্রেফতার হন তিনি।

রাজশাহীর সময় / জি আর