২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৯:৪১:১৪ পূর্বাহ্ন


জান্নাতে এক জুমার দিন যা ঘটবে
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-১১-২০২৩
জান্নাতে এক জুমার দিন যা ঘটবে প্রতিকী ছবি


ইসলামে জুমার দিন সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। রাসুলের (সা.) বহু হাদিসে জুমার দিনের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। কোরআনের একটি সুরার নাম ‘জুমা’। ওই সুরায় আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে জুমার দিনের কথা উল্লেখ করে জুমার নামাজের আজান হলে দ্রুত মসজিদে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কোরআনে এত স্পষ্টভাবে অন্য কোনো দিনের করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা নেই।

আনাস ইবনে মালেক থেকে বর্ণিত একটি হাদিস থেকে জানা যায় ফেরেশতারা এ দিনটিকে ‘ইয়াওমুল মাযিদ’ বা ‘প্রাচুর্যের দিন’ বলেন। কারণ জান্নাতে এ দিন আল্লাহ তাআলা তার জান্নাতি বান্দাদের প্রভূত নেয়ামত ও সম্মান দান করবেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, একদিন জিবরাইল (আ.) আমার কাছে এলেন শুভ্র আয়নার মত একটা জিনিস নিয়ে। আয়নাটিতে একটি কালো দাগ। আমি বললাম, এটা কী? তিনি বললেন, এ হচ্ছে জুমার দিন, যে দিনকে আল্লাহ আপনার ও আপনার উম্মতের জন্য ঈদ বানিয়েছেন। এ দিন একটা সময় আছে, যে সময় বান্দা আল্লাহর কাছে যে কল্যাণই প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাকে তা-ই দান করেন।

নবিজি (সা.) বলেন, আমি বললাম, জুমার দিনকে কালো দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হলো কেন? জিবরাইল (আ.) বললেন, জুমার দিন কেয়ামত সংঘটিত হবে। আমরা একে ‘ইয়াওমুল মাযিদ’ বা প্রাচুর্যের দিন বলি। আমি বললাম, ‘ইয়াওমুল মাযিদ’ কী? জিবরাইল (আ.) উত্তর দিলেন, জান্নাতে আল্লাহ তাআলা প্রশস্ত ও সুগন্ধময় একটা উপত্যকা বানিয়েছেন। সেখানে শুভ্র মেশকের একাধিক টিলা স্থাপন করেছেন। জুমার দিন আল্লাহ তাআলা এ উপত্যকায় অবতরণ করবেন। সেখানে নবিদের জন্য স্বর্ণের মিম্বর রাখা হবে, শহিদদের জন্য মুক্তার অনেক চেয়ার পাতা হবে। ডাগর নয়না হুররা নিজেদের কক্ষ থেকে নেমে আসবে এবং আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও মাহাত্ম্যের স্তুতি গাইতে থাকবে।

আল্লাহ তাআলা বলবেন, ফেরেশতারা! আমার বান্দাদের বিশেষ পোশাক পরিধান করাও। সে অনুযায়ী তাদের সজ্জিত করা হবে। তারপর আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেবেন, আমার বান্দাদের জন্য খাবার পরিবেশন করো। আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক তাদের জন্য বিশেষ ভোজনের ব্যবস্থা করা হবে। আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমার বান্দাদের সামনে পানীয় পরিবেশন করো। তাদের সামনে পানীয় পরিবেশন করা হবে। আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমার বান্দাদের খোশবু লাগিয়ে দাও; সে অনুযায়ী তাদের সুরভিত করা হবে।

এরপর আল্লাহ তাআলা জিজ্ঞাসা করবেন, তোমরা আমার কাছে কী চাও? জান্নাতিরা বলবে, হে আমাদের রব! আমরা শুধু আপনার সন্তুষ্টি চাই। আল্লাহ তাআলা উত্তর দেবেন, আমি তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছি।

সূত্র: মুসনাদে আবু ইয়ালা