নিরামিষ তরকারি হোক বা আমিষ কোনও পদ - রান্নায় আলু না পড়লে বাঙালির মন যেন ভরতে চায় না। তবে আলু বেশি খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর - এমন কিছু ধারণা প্রচলিত রয়েছে। তাই আজকাল স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিরা আলু এড়িয়েই চলেন।
তবে পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, আলু মানেই শরীরের পক্ষে খারাপ, এই ধারণা ভুল।
সব কিছুর মতো আলুরও কিছু ভাল এবং মন্দ গুণ রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, আলুর কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা।
পুষ্টিগুণে ভরপুর: আলু পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, সি, পটাশিয়াম, ফাইবার, আয়রন। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। যে কোনও রকমের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। সর্দি-কাশির সমস্যা কমায়।
ফাইবার সমৃদ্ধ: ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরা রাখে। ফলে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। আলুতে ভালো মাত্রায় ফাইবার থাকে। বিশেষ করে আলুর খোসায় ফাইবার ভরপুর মাত্রায় থাকে। তাই রান্নায় মাঝেমধ্যে খোসাসমেত আলু ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমায়।
বদহজমের দাওয়াই: গ্যাস, অম্বল, অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন না, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এর জন্য অনেকেই মুঠো মুঠো ওষুধ খান। তবে ঘরোয়া উপায়ে বদহজমের সমস্যা কমাতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন আলুর উপর। আলুর খোসায় থাকা ফাইবার ভালো হজমে সাহায্য করে এবং অন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: আলুতে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে শরীরকে বাঁচায়। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ক্যান্সার-সহ আরও অনেক ক্রনিক রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: আলুতে ভরপুর মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রোজের ডায়েটে উচ্চ পটাশিয়াম এবং কম সোডিয়াম থাকলে রক্তচাপের মাত্রা ঠিক থাকে। এ ছাড়া, আলু এনার্জি বাড়াতেও সাহায্য করে।