হাজার বছর ধরে ঘি আমাদের খাদ্যের একটি অংশ। আয়ুর্বেদে অনেক রোগের চিকিত্সায় ঘি ব্যবহার করা হয়। চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়াই মানুষ সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদির জন্য ঘি ব্যবহার করছে।
ঘি ঠান্ডায় খুব শক্তিশালী বলে মনে করা হয়, কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ভাইরাস ও শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দেয়। ঘি চর্বি সমৃদ্ধ, কিন্তু এই চর্বি স্বাস্থ্যকর এবং কোনও ক্ষতি করে না। এর পাশাপাশি আরও অনেক পুষ্টিগুণও পাওয়া যায় ঘি'তে। যখনই কারো ওজন কমে, তাকে ঘি ও গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। একইভাবে আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে খাদ্যাভাসেও পরিবর্তন আসে যাতে সহজেই রোগ এড়ানো যায়।ঘি সারা শীতকাল জুড়ে স্বাস্থ্যের জন্য জীবন রক্ষাকারী। ঘি শীতে শরীর গরম রাখে এবং অনেক রোগ থেকে দূরে রাখে। শীতে ঘি খাওয়ার আরও অনেক কারণ রয়েছে।
ঘি'তে মাঝারি ফ্যাটি চেইন ফ্যাট থাকে এবং তাই এটি অত্যন্ত হজমযোগ্য। শীতকালে সবাই বেশি ভাজা খাবার খায়, যার কারণে প্রায়শই হজমের সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে ঘি খুবই উপকারী। এর পাশাপাশি ঘি'তে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি যা শরীরকে উষ্ণ রাখে।ঘি'তে চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন এ,ডি এবং ই রয়েছে যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। অন্যদিকে ঘি'তে বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এত কিছু সত্ত্বেও, শুধুমাত্র সীমিত পরিমাণে ঘি খাওয়া উচিত্। দিনে তিন চামচের বেশি ঘি খাওয়া উচিত্ নয়।
ঘি নানাভাবে খাওয়া যায়।সবচেয়ে সাধারণ উপায় হল রুটির উপর ঘি দিয়ে খাওয়া।ঘি-এর আসল উপকারিতা পেতে খুব অল্প গরম করুন।আপনি যদি সরাসরি গরম কিছুতে ঘি লাগান তবে এটি বেশি উপকারী হবে,কারণ এটি খুব বেশি গরম করলে ঘি-এর চর্বিযুক্ত চেন ভেঙে যায় যা খুব একটা উপকারী নয়। তাই গরম রুটিতে কিছু ঘি লাগিয়ে খান।এছাড়া সবজিতেও ঘি যোগ করা যায়।আপনি স্যুপেও ঘি যোগ করতে পারেন। শীতকালে ঘি বেশিরভাগই দুধ এবং হলুদের সাথে খাওয়া হয়। এর মাধ্যমে সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে পারেন।গরম মসুর ডালের মধ্যে ঘি মিশিয়েও খেতে পারেন।