এলাচ দেখতে খুবই ছোট এবং এর ভিতরে অনেক দানা রয়েছে। সবাই এটিকে রান্নাঘরের মশলা হিসাবে মনে করে।তবে এলাচের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এলাচ অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এলাচের পানি এবং এলাচের তেল বহু শতাব্দী ধরে আয়ুর্বেদে বহু রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এলাচের মধ্যে রয়েছে অনেক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীর থেকে ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করতে সহায়ক।এই কারণে ক্যান্সার প্রতিরোধেও এলাচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন সি, খনিজ, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান এলাচের মধ্যে পাওয়া যায়। পুরুষালি শক্তি বাড়াতেও এলাচ কাজ করে। এর পাশাপাশি এলাচের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং মূত্রবর্ধক গুণও পাওয়া যায়। অর্থাত্ এটি প্রস্রাব পরিষ্কার করতেও সহায়ক। আসুন জেনে নেই এলাচ খেলে শরীরে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে - হেলথলাইনের খবর অনুযায়ী,ছোট এলাচ ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে পারদর্শী।ইঁদুরের ওপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইঁদুরকে যখন সাধারণ খাবারের সঙ্গে এলাচের গুঁড়ো দেওয়া হয় তখন আশ্চর্যজনকভাবে তাদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।অর্থাত্ এলাচ খাওয়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই সহায়ক। সকালে এলাচের জল পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
রক্তচাপ কমাতে উপকারী - রক্তে শর্করার মতোই রক্তচাপ কমাতেও এলাচ খাওয়া খুবই উপকারী।১২ সপ্তাহের জন্য পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে যারা প্রতিদিন ৩ গ্রাম এলাচ গুঁড়ো খান তাদের রক্তচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।উপরন্তু তাদের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।গবেষণা অনুযায়ী,এলাচ সামগ্রিক স্বাস্থ্য সমস্যা ঠিক করে।এলাচের প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যার কারণে এটি হৃত্পিণ্ডের পেশী ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে - এলাচ খেলেও ওজন কমতে পারে।NCBI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী,এলাচের নগণ্য ক্যালরি রয়েছে এবং ক্ষিদে কমানোর ক্ষমতা রয়েছে।এতে প্রচুর ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে যা ওজন কমাতে সহায়ক।এর জন্য এলাচ জলে সেদ্ধ করে সেই জল পান করতে হবে।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা - এলাচের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,ইঁদুরের ওপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে এলাচের গুঁড়োয় রয়েছে এক বিশেষ ধরনের এনজাইম,যা ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলতে সক্ষম।এটি কোলন এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী।