২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১১:৫৪:৫৯ অপরাহ্ন


যে ৫ অভ্যাসেই দূর হবে মানসিক সমস্যা!
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১১-২০২৩
যে ৫ অভ্যাসেই দূর হবে মানসিক সমস্যা! ফাইল ফটো


শারীরিক সুস্থ থাকলে মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যাবে এমনটি নয়; শারীরিক সুস্থ থাকার জন্য যতটা আমরা সচেতন হই, ঠিক তেমনি মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে কিছু অভ্যাস চর্চা করতে হবে।

প্রত্যাশা প্রাপ্তির মধ্যে বিস্তর ফারাক তৈরি হলে আমাদের মধ্যে চলে আসে হতাশা ও বিষণ্ণতা। বর্তমানে এ হতাশার মধ্যে ছোট-বড় সবাই কোনো কোনো সময়ে পড়ে।

ফলে ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। তাই সুস্থ জীবন পেতে, সুস্থ শরীরের পাশাপাশি প্রয়োজন সুস্থ মনও।

ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা মানুষকে ধীরে ধীরে অক্ষমতার দিকে ঠেলে দেয়। দীর্ঘদিন কেউ বিষণ্ণতায় ভুগতে থাকলে, পরবর্তীকালে তা বড় অসুখে পরিণত হতে পারে। তখন সেই মানসিক চাপ মস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। এটি সুস্থ চিন্তাধারার বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই মানসিক চাপকে গোড়াতেই নির্মূল করে ফেলা উচিত।

সকালের কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাসেই দূর হতে পারে ডিপ্রেশনের মতো মানসিক সমস্যা। তাই সবার জেনে রাখা উচিত। সূর্যের আলোয় দাঁড়ান সূর্যের আলো আমাদের শরীরে সুখী হরমোনের উত্‍পাদন বাড়ায়। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। যারা ডিপ্রেশনে আক্রান্ত তাদের জন্য দারুণ কাজ করে এই পদ্ধতি।

মেলাটোনিন শরীরে ঘুমের সাইকেল বা চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। মেলাটোনিন হরমোন অন্ধকারে নিঃসৃত হয়। সূর্যাস্তের পরে অন্ধকার নামার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কে মেলাটোনিন হরমোন ক্ষরণ বাড়তে থাকে।

আবার দিনের বেলায় সূর্যের আলোয় মেলাটোনিন ক্ষরণ কমে যায়। ফলে ঘুমের ঘোর কাটে। তাই মেলাটোনিনের মাত্রা কমাতে কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের আলোয় দাঁড়ান। এতে মেজাজ উন্নত হবে।

নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠা শরীরের শারীরিক সঠিকভাবে চলতে এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করবে। এটি ডিপ্রেশনের রোগীদের জন্য সহায়ক হতে পারে।

শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম প্রতিদিন সকালে কিছুক্ষণ শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে সারা দিন মনকে ভালো রাখতে, উদ্বেগ এবং চাপ কমাতে সাহায্য করবে।

শরীরচর্চা বা ব্যায়াম বিষণ্ণতার চিকিত্‍সায় খুবই কার্যকর। কারণ শরীরচর্চা করলে এন্ডোরফিন হরমোন ক্ষরণ হয়, যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

সকালে স্বাস্থ্যকর নাস্তা না করা শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই সকালে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। প্রতিদিন সকালে সুষম খাবার খাওয়া, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরে সারা দিনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি যোগাতে সহায়তা করে।