যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় জানা গেছে, হরমোনজনিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলগুলো স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বহন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, হরমোনজনিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাকে কিছুটা বাড়িয়ে দেয়, তবে সামগ্রিক ঝুঁকি কম থাকে বলে উল্লেখ করেছেন তারা।
প্লোস মেডিসিনবিষয়ক জার্নালে প্রকাশিত এ সমীক্ষায় উঠে এসেছে, প্রোজেস্টিন-হরমোনজনিত জন্মনিয়ন্ত্রণের ফলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি ২০-৩০ শতাংশ বেড়েছে। যে পদ্ধতিতে সন্তান প্রসব করানো হোক না কেন।
গবেষকরা আরও পেয়েছেন, ১৫ বছরের কাছাকাছি বয়সিদের ক্ষেত্রে প্রতি এক লাখ পিল ব্যবহারকারীর মধ্যে ঝুঁকির অন্তর্ভুক্ত হন ২৬৫ জন।
গবেষকরা বলছেন, ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টোজেন হরমোন সমন্বিত গর্ভনিরোধকগুলোর ব্যবহার আগে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কম ছিল। তবে প্রোজেস্টোজেন গর্ভনিরোধকগুলোর প্রভাব সম্পর্কে সীমিত তথ্য পাওয়া গেছে।
যাইহোক, সম্প্রতি কয়েক বছরে ইংল্যান্ডের প্রেসক্রিপশন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রোজেস্টোজেন-গর্ভনিরোধকগুলোর ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
গবেষকরা যুক্তরাজ্যের সিপিআরডি থেকে ১৯৯৬-২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখেছেন, ৫০ বছরের কম বয়সি নারী ৯ হাজার ৪৯৮ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছে। ১৮ হাজার ১৭১ জন নারী স্তন ক্যানসারবিহীন কিন্তু নিয়ন্ত্রণ পিলের কারণে আক্রান্ত হয়েছে।
গবেষকরা দেখেছেন, যে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত ৪৪ শতাংশ নারীর মধ্যে ৩৯ শতাংশই আক্রান্ত হওয়ার তিন বছর আগে হরমোনাল গর্ভনিরোধক নির্ধারণ করেছিলেন। প্রোজেস্টেজেন-শুধু জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির জন্য এ আক্রান্ত হয় এটি অর্ধেক প্রেসক্রিপশন বলছে।
গবেষণায় আরও বলা হয়, জন্মনিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পদ্ধতি পিল বা ইনজেকশন যে কোনোটাই নেওয়া হোক না কেন, সবই একই পরিমাণ ঝুঁকি বহন করে।