অহমিকা ও ঔদ্ধত্য শয়তানের স্বভাব। অহংকারের কারণে শয়তানকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। শয়তান চিরজাহান্নামি। যারা অহংকারী ও উদ্ধত তাদের ঠিকানাও জাহান্নাম। কারণ আল্লাহ অংকারীকে অপছন্দ করেন। অহংকারীকে তার দীন থেকে, হেদায়েত থেকে দূরে রাখেন। আল্লাহ বলেন,
سَأَصْرِفُ عَنْ آيَاتِي الَّذِينَ يَتَكَبَّرُونَ فِي الأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَإِنْ يَرَوْا كُلَّ آيَةٍ لا يُؤْمِنُوا بِهَا وَإِنْ يَرَوْا سَبِيلَ الرُّشْدِ لا يَتَّخِذُوهُ سَبِيلاً وَإِنْ يَرَوْا سَبِيلَ الغَيِّ يَتَّخِذُوهُ سَبِيلاً ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَكَانُوا عَنْهَا غَافِلِينَ .
পৃথিবীতে যারা অন্যায়ভাবে অহংকার করে বেড়ায় আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনসমূহ হতে ফিরিয়ে রাখব, প্রত্যেকটি নিদর্শন দেখার পরেও তারা তাতে ইমান আনবে না, তারা যদি সঠিক পথ দেখতে পায় তবুও সেই পথ সঠিক পথ বলে গ্রহণ করবে না। ভ্রান্তি ও গোমরাহির পথ দেখলে তাকেই তারা গ্রহণ করবে। (সুরা আরাফ: ১৪৬)
জান্নাতি মানুষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য নম্রতা ও বিনয়। আল্লাহর নির্দেশের সামনে যারা বিনত হয়, আল্লাহর আনুগত্য করে। আল্লাহর কথা স্মরণ করলে তাদের অন্তর কেঁপে ওঠে। আল্লাহ তার মুমিন বান্দাদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে বলেন,
اِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ اِذَا ذُكِرَ اللهُ وَ جِلَتْ قُلُوْبُهُمْ وَ اِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ اٰيٰتُهٗ زَادَتْهُمْ اِيْمَانًا وَّ عَلٰي رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُوْنَ.
মুমিন তো তারাই আল্লাহর কথা আলোচিত হলে যাদের অন্তর কেঁপে ওঠে, আর তাদের কাছে যখন তার আয়াত পঠিত হয়, তখন তা তাদের ইমান বৃদ্ধি করে আর তারা তাদের রবের ওপর নির্ভর করে। (সুরা আনফাল: ২)
আল্লাহর কাছে যারা থাকেন অর্থাৎ ফেরেশতারা, তারাও বিনয়ী। তাদের মধ্যে অহমিকা নেই। আল্লাহর নির্দেশে তারা মানুষের আদিপিতা আদমকে (আ.) সম্মানসূচক সিজদা করেছিলেন। আল্লাহ তাদের ব্যাপারে বলেন,
اِنَّ الَّذِيْنَ عِنْدَ رَبِّكَ لَا يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِهٖ وَ يُسَبِّحُوْنَهٗ وَ لَهٗ يَسْجُدُوْنَ.
যারা তোমার রবের সান্নিধ্যে রয়েছে তারা তার ইবাদত থেকে অহংকারে মুখ ফেরায় না। তারা তার তাসবিহ পাঠ করে, তাকেই সিজদা করে। (সুরা আরাফ: ২০৬)