০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:১৭:১০ অপরাহ্ন


সিসিটিভি ফুটেজ-শিশুর তথ্যে গৃহবধূর ‘খুনি’ আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-১০-২০২৩
সিসিটিভি ফুটেজ-শিশুর তথ্যে গৃহবধূর ‘খুনি’ আটক বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূ তাসলিমা আকতারকে (২২) মাথায় হাতুড়ির আঘাতে হত্যা


বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকায় বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূ তাসলিমা আকতারকে (২২) মাথায় হাতুড়ির আঘাতে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়নি। তবে ডিবি পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও নিহতের ছেলের বর্ণনা অনুসারে সম্ভাব্য ঘাতক শাকিবকে (২৪) আটক করেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিব জানিয়েছেন, ঋণ নেওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় বিরক্ত হয়ে তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন মোহন্ত।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, গৃহবধূ তাসলিমা আকতার বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। সিরাজুল শহরে হকার্স মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করেন। তিনি টিনশেডের বাড়িতে স্ত্রী ও চার বছর বয়সী ছেলে কাজিম আলীকে নিয়ে বসবাস করেন। তিনি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়িতে ফেরেন।

মোটরসাইকেলের হর্ন দিলেও তাসলিমা সাড়া দেননি। বাহির থেকে গেটের লক খুলে বাড়িতে ঢুকে দেখেন বারান্দায় স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে রয়েছে। পাশে একটি হাতুড়ি পড়েছিল। বন্ধ ঘরের দরজা খুললে রশি দিয়ে বাঁধা ছেলে কাজিম আলীকে কান্না করতে দেখেন। ঘরে বিছানা ও সোফা সেট অগোছালো ছিল। তাসলিমার মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি।

ডিবি পুলিশের সূত্র জানায়, শিশু কাজিম আলীর সঙ্গে কথা বললে সে বলেছে- নানাবাড়ি থেকে আসা মামা তার মাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এর আগে মা ও মামা সোফায় বসে গল্প ও নাস্তা করেছেন। মামা ইজিবাইক নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন।

পরে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করলে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১০টা ১১ মিনিটের দিকে এক যুবক বাড়িতে ঢোকেন। তিনি তার ওই ইজিবাইকটি বাড়ির সামনে রাখেন। কাছে হাতুড়ি রাখা ওই যুবক ঘণ্টা দেড়েক বাড়িতে অবস্থান করেন। শিশুর দেওয়া ক্লু ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই বগুড়া সদরের রাজাপুর থেকে আনিসার রহমানের ছেলে ইজিবাইক চালক শাকিবকে আটক করে।

শুক্রবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শাকিব জানান, বিদেশ যাওয়ার জন্য চাচাতো বোন তাসলিমার কাছে ১০ হাজার টাকা ধার নেন। বার বার টাকা চাওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মাথায় হাতুড়ির আঘাতে তাসলিমাকে হত্যা করেন। এছাড়া তিনি শিশু কাজিম আলীকে মারপিট ও ভয় দেখিয়ে ঘরে আটকে রাখেন।

বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ওই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মামলা হয়নি।

ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন মোহন্ত জানান, আটক শাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।