১৭ মে ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন


অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শাহিন আফ্রিদির আরও একটি রেকর্ড
ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১০-২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শাহিন আফ্রিদির আরও একটি রেকর্ড ছবি: সংগৃহীত


বেঙ্গালোরে বিশ্বকাপের ১৮তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করে প্যাট কামিন্সের দল রানবন্যা বইয়ে দিয়েছে। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৩৬৭ রান। অবশ্য শেষদিকে তাদের দাপটের লাগাম টেনেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফরা। শাহিন একাই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। এই কীর্তি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো গড়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে শ্বশুর শহীদ আফ্রিদির রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন শাহিন।

পাকিস্তানি বোলাররা বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ১০ বার এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত তাদের হয়ে দুবার করে বিশ্বকাপে ৫ উইকেট পাওয়ার ঘটনা আছে দুজন বোলারের। সেই কীর্তি–ই মূলত শহীদ ও শাহিন আফ্রিদিকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে।

এর আগে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৯ আসরে শাহিন আফ্রিদি বিশ্বকাপের প্রথম ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছিলেন। লর্ডসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯.১ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এরপর আজ বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শাহিন আফ্রিদি ৫ উইকেট নিয়েছেন ১০ ওভারে ৫৪ রান ব্যয় করে।

তার শ্বশুর দুবার পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন কেনিয়া ও কানাডার বিপক্ষে। ২০১১ বিশ্বকাপে প্রথমবার কেনিয়ার বিপক্ষে ১৬ রানে শহীদ আফ্রিদি নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। এরপর ৩ মার্চ কলম্বোয় ১০ ওভার বল করে ২৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন কানাডার বিপক্ষে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজ শাহিন আরও একটি রেকর্ড করেছেন। এটি তার ৪৮তম ওয়ানডে ম্যাচ। সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে এর আগে অজি পেসার মিচেল স্টার্ক সর্বোচ্চ ৯৫ উইকেট নিয়েছিলেন। যা বোলারদের মধ্যে ৪৮ ওডিআইতে সর্বোচ্চ। শাহিন আফ্রিদিও আজ সমান ম্যাচে ৯৫তম উইকেট পেয়েছেন।

তার বোলিং নৈপুণ্যে মূলত অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থেমেছে ৩৬৭ রানে। অথচ তাদের রানের গতি স্বাভাবিকভাবেই চারশ’র দিকে ছুটছিল। ২৫৯ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর সেভাবে ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কোনো অজি ব্যাটার। তবে এই ম্যাচেই পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছে। ম্যাচ জিততে হলে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হবে পাকিস্তানকেও। এর আগে চলমান বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৩৪৫ রানের লক্ষ্য টপকে বাবর আজমের দল রেকর্ড করেছিল।