আজ আমরা বলবো সাদা মাখনের উপকারিতা। সাদা মাখন খেলে অনেক রোগ এড়ানো যায়। এটি হলুদ মাখনের চেয়ে দ্রুত হজম হয়। বাজারে পাওয়া মাখনে লবণ বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়, যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে। তাই বাড়িতে তৈরি সাদা মাখন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সাদা মাখন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী - মাখন যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে,তবে এটি সম্পূর্ণ সত্য নয়।আজ আমরা সাদা মাখন তৈরির পদ্ধতি,কীভাবে এটি খাওয়া যায় এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে বলবো।
কীভাবে বাড়িতে সাদা মাখন তৈরি করবেন - প্রথমে দুধের ক্রিম সংগ্রহ করুন।এরপর একটি পাত্রে ক্রিমটি ঢেলে একটি চামচ দিয়ে জোরে জোরে ঘোরান।দেখবেন প্রথমে ক্রিম জলের মতো হয়ে যাবে।ক্রিমটা একটানা ঘোরাতে ঘোরাতে ঘন হয়ে যাবে।তারপর ধীরে ধীরে দুধের জল থেকে মাখন আলাদা হতে শুরু করবে।এরপর মাখন বের করে নিন। এভাবে সাদা মাখন তৈরি হয়ে যাবে ।
সাদা মাখন খাওয়ার উপকারিতা - গলায় ফোলাভাব থাকলে মাখন খান।এটি স্বস্তি দেয়।মাখনে আয়োডিন থাকে,যা থাইরয়েড গ্রন্থিগুলোকে শক্তিশালী করতে কাজ করে।
সাদা মাখন খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং কোলেস্টেরলের সমস্যাও দূর হয়।মাখনে উপস্থিত ভিটামিন এবং সেলেনিয়ামও হার্টের সমস্যা সৃষ্টি হতে বাধা দেয়।
মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ করতে মাখন খাওয়া হয়।শিশুদের সাদা মাখন দিতে হবে।এতে তাদের মন সুস্থ ও স্মৃতিশক্তি প্রখর হবে।সাদা মাখনে শিশুদের দৃষ্টিশক্তিও উজ্জ্বল হয়।
সাদা মাখনে ক্যালসিয়াম থাকে,যা হাড় মজবুত করতে কাজ করে।এতে জয়েন্টের ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়।
মাখন ক্যান্সারের মতো বিপজ্জনক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক প্রমাণিত হতে পারে।
ঘরে তৈরি মাখন ভালো কোলেস্টেরলের একটি সমৃদ্ধ উত্স,যা বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ মাখনের চেয়ে স্বাস্থ্যকর।এই মাখনে রয়েছে ট্রান্স ফ্যাট,যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সাদা মাখন কীভাবে খাবেন -
ব্রাউন ব্রেডের ওপর সাদা মাখন লাগিয়ে খেতে পারেন।
পরোটা বা রুটির সঙ্গে সাদা মাখন খেতে পারেন।
অমলেট তৈরিতেও সাদা মাখন ব্যবহার করা যেতে পারে
এটি লাঞ্চ বা ডিনারে সবজি প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।