দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে দিনে দু'বার দাঁত মাজার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। কিন্তু দোকানে টুথপেস্ট কিনতে গেলেই বিপত্তি। কোন টুথপেস্ট সবচেয়ে ভালো হবে, তা ঠিক করতেই লেগে যায় অনেক সময়। তাছাড়া এখন প্রায় সব কিছুতেই নানা রকম রাসায়নিকের ব্যবহার হয়।
চিকিত্সকেরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে রাসায়নিক-যুক্ত পেস্ট ব্যবহারের ফলে শুধু যে দাঁত এবং মাড়ির ক্ষতি হয়, তা নয়।
মুখের ঘা, এমনকি ক্যান্সারের মতো অসুখও দেখা দিতে পারে। তার চেয়ে যদি বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায় ক্যামিকেল-ফ্রি টুথপেস্ট, তাহলে উপকারই হবে।
ঘরোয়া কয়েকটি উপাদান দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলা যায় দাঁতের মাজন। জেনে নিন টুথপেস্ট বানাতে কী কী লাগবে এবং এটি তৈরির পদ্ধতি।
উপকরণ: ৪ টেবিল চামচ বেকিং সোডা, ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল, এবং এক চিমটে নুন। ব্যস! এই চারটি জিনিস দিয়েই তৈরি হবে টুথপেস্ট।
তৈরির পদ্ধতি: একটা বাটিতে প্রথমে বেকিং সোডা এবং নুন ভালো করে মিশিয়ে নিন। এতে নারকেল তেল মেশান। তারপর পেপারমিন্ট অয়েল মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা। যতক্ষণ না টুথপেস্টের মতো ঘন হচ্ছে, ততক্ষণ উপকরণগুলি ফেটাতে থাকুন। টুথপেস্ট তৈরি হয়ে গেলে তা পরিষ্কার কাঁচের শিশিতে ভরে রেখে দিন। দিনে দু'বার এই ঘরোয়া পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজার অভ্যাস করুন।
উপকারিতা: বেকিং সোডা দাঁতকে পরিষ্কার রাখে। এটি নন-টক্সিক এবং দাঁতের ক্ষয় হতে দেয় না। নুন দাঁতের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। দাঁত হলুদ হওয়া থেকে আটকায়। দাঁত এবং মাড়ি থেকে প্লাক ও ব্যাকটেরিয়া অপসারণে সহায়তা করে।
নারকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। পিপারমেন্ট তেল মাজনের গন্ধ ও স্বাদ বজায় রাখে। মুখের ভিতরের ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও সাহায্য করে পিপারমেন্ট তেল।