আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ড্রাগন ফল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ফলটি শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। ড্রাগন ফলকে পুষ্টির ভান্ডার বলা হয়। হেলথলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন রয়েছে। ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে পলিফেনল, ক্যারোটিনয়েড এবং বিটাসায়ানিন জাতীয় উদ্ভিদ যৌগ।
ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন, লাইকোপিন এবং বেটালাইন। এই সমস্ত উপাদান দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী ড্রাগন ফল। শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ড্রাগন ফলের ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিনয়েড আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শ্বেত রক্তকণিকাকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এটি শরীরকে যেকোনো ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ড্রাগন ফল ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ, যার কারণে এটি পাচনতন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, নারীদের প্রতিদিন ২৫ গ্রাম ফাইবার প্রয়োজন এবং পুরুষদের প্রতিদিন ৩৮ গ্রাম ফাইবার প্রয়োজন।
ড্রাগন ফল হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ড্রাগন ফল হলো কয়েকটি তাজা ফলের মধ্যে একটি, যাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। আয়রন আপনার সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একটি অনুমান অনুসারে, বিশ্বের জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। আয়রনের ঘাটতি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক খারাপ প্রভাব ফেলে। ড্রাগন ফল আয়রনের ঘাটতি দূর করতে কার্যকরী। ড্রাগন ফল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যে ড্রাগন ফলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোদে পোড়া, ত্বকের শুষ্কতা এবং ব্রণ,বয়সের ছাপ থেকে মুক্তি দিতে পারে। ড্রাগন ফলের ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেন তৈরি করতে, চুল মজবুত করতে সাহায্য করে।