যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক প্রবাসীদের মাতালেন এ সময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। স্থানীয় সময় রবিবার (৮ অক্টোবর) নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকার মেরি লুইস একাডেমিতে প্রচুর সংখ্যক দর্শকশ্রোতাদের উপস্থিতিতে একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে তার সব জনপ্রিয় গান পরিবেশন করে দর্শকদের আনন্দ দেন। ন্যান্সির একক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন শো টাইম মিউজিক। যুক্তরাষ্ট্রে ন্যান্সির প্রথম সঙ্গীতানুষ্ঠানে সাধারন দর্শক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
রাত পৌনে ৯টায় শুরু হওয়া উক্ত অনুষ্ঠান চলে ১১টা পর্যন্ত। ন্যান্সি একের পর এক তার জনপ্রিয় গান গেয়ে দর্শকশ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন। গান শুরুর আগেই ন্যান্সি বলেন, যারা বাংলা গানকে ভালবাসেন তাদেরকে এ মিলনায়তনে উপস্থিত দেখে আমি সত্যিই আনন্দিত। হলে কতজন দর্শক হয়েছে সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হচ্ছে কতজন সঙ্গীত পিপাসুদের সামনে আমি প্রাণ খুলে গান গাইতে পারছি। শিল্পীকে যন্ত্রে সংগত করেন-পার্থ গুপ্ত, জোহান, মাহফুজুর রহমান ও রিচার্ড।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শো টাইম মিউজিকের আলমগীর খান আলম স্বাগত বক্তব্যে দেন। এরপর বক্তব্য দেন নিউ ইয়র্ক মেয়রের এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান, এটর্নি মঈন চৌধুরী, আকবর হায়দার কিরন, হাসান জিলানী, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, সিপিএ চিশতি,আবুল কাশেম ও বেলায়েত হোসেন।
উল্লেখ্য, ১৮ বছর ধরে সঙ্গীত জগতে ন্যান্সির বিচরণ থাকলেও কখনো আমেরিকায় আসা হয়নি তার। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের কাছে একজন শিল্পী হিসাবে নিজেকে নতুন করে তুলে ধরতে চান তিনি।
নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির সঙ্গীত জীবন শুরু হয় ২০০৬ সালে হৃদয়ের কথা চলচ্চিত্রের গান গেয়ে। ২০০৯ সালের তার প্রথম অ্যালবাম ভালোবাসা অধরা মুক্তি পায়। ২০১১ সালের প্রজাপতি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা সাতবার তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী (নারী) বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন। ন্যান্সির গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার সাতপাইতে।
ন্যান্সি আগামী নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সঙ্গীতানুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতোমধ্যে নিউ ইয়র্কের বাফেলো, ওয়াশিংটন ডিসি, বোস্টন, মায়ামী ও লস অ্যাঞ্জেলসে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন আয়োজকরা জানিয়েছেন।