যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী দেশ হিসেবে অবস্থান বাংলাদেশের। দীর্ঘদিন ধরে বেশ সুনামের সঙ্গে প্রাশ্চাত্যের দেশটিতে পোশাক রপ্তানি করলেও সাম্প্রতিক সময়ে রপ্তানি কমেছে। তবে সেখানে শুধু বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিই কমেনি বরং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও আমদানি কমিয়েছে দেশটি।
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১.৭৭ শতাংশ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) প্রকাশিত তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে।
ওটেক্সা ও বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৩ সালের প্রথম আট (জানুয়ারি-আগস্ট) মাসে বাংলাদেশ থেকে ৫.১৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসময়ে বিশ্ব বাজার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক পোশাক আমদানির পরিমাণ কমে ৫৩.৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ২০২২ সালের একই (জানুয়ারি-আগস্ট) সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৬৯.২১ বিলিয়ন ডলার।
আলোচিত সময়ে আমেরিকায় রপ্তানি কমেছে চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার। শীর্ষস্থানীয় পোশাক আমদানির উৎসগুলো মূল্য ও পরিমাণ উভয় দিক থেকেই কমেছে। এসময়ে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি কমেছে ২৯.৪৭ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম থেকে আমদানি কমেছে ২৪.৫৭ শতাংশ। আমেরিকার বাজারে পোশাক রপ্তানিতে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশ দুটি।
এছাড়া ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি কমেছে ২১.৫৯ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া থেকে ২৬.০৯ শতাংশ, কম্বোডিয়া থেকে ২৭.২৮ শতাংশ, মেক্সিকো থেকে ৮.৮৭ শতাংশ, হন্ডুরাস থেকে ২২.২৬ শতাংশ, পাকিস্তান থেকে ২৯.২৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি কমেছে ১১.৭৪ শতাংশ।