২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৯:৫৩:২২ অপরাহ্ন


বিজ্ঞান মতে যেসব কারণে চুল পড়ে!
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১০-২০২৩
বিজ্ঞান মতে যেসব কারণে চুল পড়ে! ছবি: সংগৃহীত


আমাদের সবার কম বেশি চুল পরে।দিনে ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। প্রতিদিন শরীর থেকে খুব বেশি চুল পড়লে একজন ব্যক্তির অতিরিক্ত চুল পড়া শুরু হয়। এই অবস্থার জন্য মেডিকেল শব্দ হল টেলোজেন এফ্লুভিয়াম।

চলুন তাহলে জেনে নেই কোন অবস্থায় চুল পড়া শুরু হয়-

যারা ২০ পাউন্ড বা তার বেশি ওজন হারিয়েছেন, সন্তান জন্ম দিয়েছেন, অনেক স্ট্রেস অনুভব করছেন, খুব বেশি জ্বর, অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বা গর্ভবতী হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চুল পড়া সাধারণ বিষয়। বেশিরভাগ ব্যক্তি একটি চাপের ঘটনার কয়েক মাস পরে অতিরিক্ত চুল পড়া লক্ষ্য করেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন নতুন মা জন্ম দেওয়ার প্রায় দু মাস পর অতিরিক্ত চুল পড়া লক্ষ্য করতে পারেন। সাধারণত, শিশুর জন্মের চার মাস পর চুল পড়ে যায়। এই প্রবাহ স্বাভাবিক এবং অস্থায়ী। ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে চুল গজাতে শুরু করে। যদি মানসিক চাপ থাকে তবে চুল পড়া দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে। যারা প্রতিনিয়ত প্রচণ্ড মানসিক চাপে থাকেন, তাদের চুল অনেকদিন ধরেই বেশি পড়ে থাকে।

কোন কিছু চুল গজাতে বাধা দিলে চুল পড়া হয়। এই অবস্থার জন্য মেডিকেল শব্দ অ্যানাজেন এফ্লুভিয়াম। চুল পড়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলি হল:

বংশগত চুল পড়া

ইমিউন সিস্টেম অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখায়

নির্দিষ্ট ওষুধ এবং চিকিত্‍সা

চুলের স্টাইল যা চুল টানছে

কঠোর চুলের যত্ন পণ্য

চুল টানা

যারা কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন ট্রিটমেন্টের মধ্য দিয়ে যায় তারা প্রায়শই প্রচুর চুল পড়ে যায়। চিকিত্‍সা বন্ধ হয়ে গেলে, তাদের চুল আবার বৃদ্ধি পায়।

চুল পড়ার অন্যান্য কারণগুলির জন্য চিকিত্‍সার প্রয়োজন হতে পারে। অনেকেরই যাদের চুল পড়া বংশগত, তাদের চুল পড়া অব্যাহত থাকে এমনকি চিকিত্‍সা না করেও। যে মহিলারা উত্তরাধিকার সূত্রে চুল পড়ার জিন পেয়ে থাকেন তারা ধীরে ধীরে চুল পড়া অনুভব করতে পারেন। যেসব পুরুষের বংশগত চুল পড়ে তাদের মাথার ত্বকের মাঝখানে শুরু হওয়া চুলের রেখা বা টাক পড়ে যায়। একে চুল মরে যাওয়া বলে।