২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০২:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন


দু'বার ডিভোর্সের পর এখন নিজের শর্তে জীবন কাটাচ্ছেন শ্বেতা
তামান্না হাবিব নিশু
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১০-২০২৩
দু'বার ডিভোর্সের পর এখন নিজের শর্তে জীবন কাটাচ্ছেন শ্বেতা শ্বেতা তিওয়ারি। ছবি: সংগৃহীত


শ্বেতা তিওয়ারি ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং টিভি জগতে অত্যন্ত পরিচিত নাম। এই অভিনেত্রী মাত্র ১২ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো ক্যামেরার মুখোমুখি হন। আজ শ্বেতা তিওয়ারি তাঁর ৪৩তম জন্মদিবসে পা রেখেছেন। নিজের জন্মদিন উপলক্ষ্যে জীবনের নানা কথা শেয়ার করেছেন তিনি।শ্বেতা তিওয়ারি তাঁর অভিনয় দক্ষতার জেল্লা ছড়িয়ে দিয়েছেন সিরিয়াল থেকে চলচ্চিত্রে।

৪৩ বছর বয়সেও ফিটনেসের দিক থেকে আজকের অনেক তরুণ অভিনেত্রীদের সঙ্গেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন এই অভিনেত্রী। আজও চলচ্চিত্র ও সিরিয়ালে নিজেকে পুরোপুরি সক্রিয় রেখেছেন এই অভিনেত্রী। কেরিয়ারের দিক থেকে সফল এই অভিনেত্রী যদিও ব্যক্তিগত জীবনে নানা সঙ্কটময় দিন কাটিয়েছেন।

১২ বছর বয়সে চলচ্চিত্র ও সিরিয়ালে কাজ শুরু করা পর শ্বেতা ধীরে ধীরে নিজেকে পরিপক্ক করে তুলেছিলেন। তবে বলিউড এবং হিন্দি সিরিয়ালে আসার আগে, শ্বেতা ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ নাম করেছেন।

ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সময় শ্বেতা তিওয়ারি এবং পরিচালক রাজা চৌধুরির ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। বন্ধুত্ব থেকে শুরু হওয়া ওই সম্পর্ক ধীরে ধীরে প্রেমে রূপান্তরিত হয়।

এই দম্পতি তাঁদের পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়েই বিয়ে করেছিলেন। মাত্র কয়েকদিনের পরিচয়ে তাঁদের বিয়ে হওয়া নিয়ে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। এই দম্পতির বিয়ের সময়, শ্বেতার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।

পরিবারের সদস্যরা অবশ্য রাজা চৌধুরির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। এরপরে ৯ বছর ধরে সুখী বিবাহিত জীবনযাপনের পর ২০০৭ সাল থেকে শ্বেতা এবং রাজার সম্পর্কের মধ্যে ফাটল দেখা দিতে শুরু করে যা অবশেষে বিবাহবিচ্ছেদে সমাপ্ত হয়। ওই সময়ে শ্বেতা এক কন্যার জন্মও দিয়েছিলেন।

ডিভোর্সের পর মেয়ে পলককে একাই বড় করেছেন শ্বেতা তিওয়ারি। বছরের পর বছর একাই মা হিসেবে মেয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর, ২০১৩ সালে, অভিনেত্রী তাঁর জীবনে আবারও প্রেমের সাক্ষাত্‍ পান।

শ্বেতা দ্বিতীয়বারের মতো তাঁর বন্ধু অভিনব কোহলিকে বিয়ে করেন। কিন্তু সেবারও সম্পর্ক টেকেনি। ২০১৯ সালে অভিনবকে ডিভোর্স দেওয়ার পরে, তিনি এখন নিজের শর্তেই জীবনযাপন করছেন। আজও, শ্বেতা তিওয়ারি তাঁর ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রেখে চলছেন সফল ভাবে।